সুদানে সরকারিভাবে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সুদানের মুসলিম জনতা। দেশটির ক্ষুব্ধ মুসলিম জনগণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল-সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিকে রাজি হয়েছে। নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব অবসানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দু’জাতি ‘শুক্রবার ইসরায়েল, সুদান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় এমন ঘোষণার পর রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ করেন সুদানের নাগরিকরা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা রাজধানী খার্তুমে সমাবেশ করেন এবং সুদানের সার্বভৌম পরিষদের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহকে সন্ত্রাসী ইসরালের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান।
খার্তুমের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সুদানের নাগরিকরা বলেন, দখলদার রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো শান্তি নয়, সমঝোতা নয়, একাত্মতা প্রকাশের প্রশ্নই উঠে না। আমরা কখনো তা মেনে নেবো না। ফিলিন্তিনিদের সঙ্গে সব সময় আছি আমরা।’সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকায় আগুন দেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে সুদানের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ।
যদিও আল জাজিরাকে ফিলিস্তিনী এক ব্যাক্তি বলেছেন, অনেক ফিলিস্তিনী বিশ্বাস করেন, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ নিন্দা জানানো ছাড়া খুব বেশি কিছু করতে পারেনি।
দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহর থেকে আল জাজিরাকে ঐ ব্যাক্তি বলেন, অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কিন্তু মুক্তির আশা খুব একটা নেই।
অনেক ফিলিস্তিনী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, সুদানের নাগরিকদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু দেশটির শাসকদের কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর।