১৫ বিঘা জমি, কয়েকটি পানের বরজ আর গোয়াল ভরা গরু রয়েছে জাকির হোসেন মধুর। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জাকির হোসেন কখনো কখনো নিজেকে কোটিপতিও দাবি করেন। এলাকার মানুষও তাকে বিত্তবান বলেই জানে। কিন্তু ঘরহীনদের জন্য সরকারের ত্রাণের ঘর দেওয়া হয়েছে তাকেই।
জাকির হোসেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের দুঃস্থ মানুষকে ঘর না দিয়ে বিত্তবান জাকিরকে ঘর দেওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত আ. ছাত্তার সিকদারের স্ত্রী শাহানারা বেগম, মৃত তাজেম আলী সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম, রহিমউদ্দিন, মহিউদ্দিন, বিধবা সালেহা বেগম, রানী বেগম, মোতাহার বেড়িবাঁধে ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছেন। তারা এসব ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু এসব দুঃস্থ মানুষদের জন্য সরকারের দেওয়া পাকা ঘর যাচ্ছে বিত্তবানদের দখলে।
এ বিষয়ে গলাচিপা সদর ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান হিরন বলেন, ‘জাকির হোসেন মধু বিত্তবান। নিজেকে কোটিপতি হিসাবে দাবি করেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ঘর তাকে কীভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে আমাদের তা জানা নেই।’
গলাচিপা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী বলেন, ‘ধনী হয়েও মধু কিভাবে গৃহহীনদের আবাসন সুবিধার ঘর পেয়েছে, তা জানা নেই।’ বিষয়টি নিয়ে জাকির হোসনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আমাদের সময়