বিগত ১০-১২ বছরে ধরে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার অসংখ্য মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংস করেছে কথিত উন্নয়নের অযুহাতে। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিপরীতে সেই একই কারণ থাকার পরেও সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ ও রক্ষা করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দিরগুলো। যার সম্পূর্ণ অর্থই এদেশে খেটে-খাওয়া কোটি মুসলিমের ট্যাক্সের টাকা থেকে নেওয়া। ভারতীয় গোলাম আওয়ামী সরকারের এমন দ্বিমুখী আচরণ এদেশের ১৬ কোটি মুসলিমের হৃদয়কে ব্যথিত করছে।
হাসিনা সরকার ২০০৮ সালে মদিনা সনদে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ বিভিন্ন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় আসে। ধর্ম ব্যবসা করে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের শাসনামলে আল্লাহর ঘরগুলোকে শহীদ করা হচ্ছে, এবং মাদ্রাসাগুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।
এই হাসিনা সরকারের আমলে কথিত পর্যটনকেন্দ্র তৈরি, রাস্তাঘাট নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন,, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও উচ্ছেদ অভিযানের নামে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ ও মাদরাসা।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুধুমাত্র কথিত সৌন্দর্যবর্ধন তথা উন্নয়নের নামেই ঢাকার চারপাশে নদীকেন্দ্রিক ৭৭টি মসজিদসহ সারাদেশে আরও অনেক মসজিদ এবং মাদ্রাসা ভেঙে দেওয়ার মতো ইসলামবিরোধী সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌপরিবহন সচিব। যার বিরুদ্ধে সরকারদলীয় উলামালীগসহ কয়েকটি ইসলামি দল প্রতিবাদস্বরূপ আন্দোলনও করেছে।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, কোথাও একবার মসজিদ হলে তা ভাঙার অধিকার কারও নেই। কাজেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে কোনও মসজিদ ভাঙা সাধারণ মুসলিমরা বরদাশত করতে পারার কথা নয়।’
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙা হয়েছে কয়েক ডজন মসজিদ ও মাদ্রাসা। এর মধ্যে রয়েছে, ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য ফেনীর ঐতিহ্যবাহী ‘মহিপাল জামে মসজিদ’ ভেঙে ফেলা। স্থানীয়দের ইবাদত-বন্দেগী ও যাত্রাপথের মুসাফিরদের জন্য মসজিদটি ছিল খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এর আলাদা গুরুত্বও ছিল। একই বছর রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সম্প্রসারণের নামে পাঁচটি মসজিদ ও একটি মাদরাসা ভাঙা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন মসজিদটি । মাটিকাটায় ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’ ভাঙা হয়েছে। হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে শুধুমাত্র সৌন্দর্যবৃদ্ধির নামে দুটি মসজিদ ও একটি মাদরাসা ভাঙা হয়েছে। রংপুরের ‘শাহী মসজিদ’ নামে পরিচিত মসজিদটিও ভাঙা হয়েছে একই বছর। ঐবছরই ঢাকার সদরঘাট ও কামরাঙ্গিরচরে অন্তত ২১টি মসজিদ এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নে আরো ২৩টি মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আওয়ামী সরকার।
পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা বাকারার ১১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে? যে ব্যাক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে! এদের জন্য মসজিদসমূহ প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য রয়েছে ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।”
মসজিদ ভাঙার প্রতিটি ঘটনায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কোনো কোনো স্থানে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন প্রতিবাদকারী মুসলিমরা। রাজধানীর সদরঘাটের ‘বাইতুন নাজাত’ মসজিদ ভাঙা নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের কথা উল্লেখযোগ্য। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রতিবাদের ফলে কিছু কিছু মসজিদ ভাঙার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মুসলিমদের প্রতিবাদের পর সাময়িক সময়ের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার কিছুটা নিরবতা পালন করলেও কিছুদিন পরে আবারো শুরু হয় সেই একই কর্যক্রম। যার ধারাবাহিতায় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সেসব মসজিদগুলো পুনরায় ভেঙে ফেলের পাঁয়তারা করে সরকারের গুন্ডা বাহিনী।
আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাঝেমাঝে এমনও নিউজ দেখতে পাচ্ছি যে, স্থানীয় আওয়ামী গুন্ডারা মসজিদের জায়গা দখল করছে, চাদা না দেওয়ায় মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। নিজেদেরকে মসজিদ সভাপতি বা অন্যকোনো পদে না দেওয়ায় ইমাম ও মুসল্লিদের মারধর ও মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া মত জঘন্যতম অপরাধ করছে।
সূরা বাকারার ১১৪তম আয়াতের তাফসীরে আলেমগণ লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে কোনও উপায়ে মসজিদসমূহকে ধ্বংস বা উজাড় করে দেয় সে যালিম/অত্যাচারী। ঐ সমস্ত লোক যারা মানুষদেরকে মসজিদে আসতে বা মসজিদ নির্মাণ করতে বাধা দেয়, মসজিদ বা এর কোনো অংশ দখল করে, ব্যক্তিগত কাজের জন্য মসজিদ ব্যবহার করে, মসজিদের কোনো অংশ সরিয়ে ফেলে বা দখল করে, তারা সবাই এই আয়াতের প্রতিশ্রুতির অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এরা সবাই যালেম, এদের জন্য রয়েছে ইহকালে লাঞ্ছনা ও পরকালে কঠিন শাস্তি’।
আলোচনা সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য কোন স্থানটি মসজিদ বিভাগের অধীনে, নামাজের জন্য ওয়াকফ জমির অবস্থা কী এবং কখন ওয়াকফ জমির ক্ষেত্রে মসজিদের শরীয়ত বিধান প্রযোজ্য তা উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এবিষয়ে আদ-দারুল-মুখতার এবং ফাতাওয়া আশ-শামিসহ ফাতাওয়ার অন্যান্য কিতাবে বিস্তারিত বিবরণ এবং ব্যাখ্যা রয়েছে।
এখানে মসজিদ-মাদরাসার ক্ষেত্রে যেটা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটা হলো, কথিত উন্নয়নের উসিলায় তা নির্বিচারে ভেঙে ফেলা বা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া। পক্ষান্তরে, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় ও ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষেত্রে যেটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। এর কিছু কিছু বিভিন্ন সময় আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখেছি, যদিও হলুদ মিডিয়া বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করে। তবে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কিছু রিপোর্ট বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
যেমন:
১) রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘গৌরাঙ্গ মন্দির’ যাতায়াতের সুবিধার জন্য ভেঙে ফেলায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিস্তু হিন্দু সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট রাখতে তা ভাঙা হয়নি। বরং মন্দির বাঁচাতে মুসলিমদের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা ও ফ্লাইওভারের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানে রাস্তা ও ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে বাঁকা করে।
২) পাবনার রাঘবপুরে রাস্তার মাঝখানে চার-পাঁচটি মন্দির রেখেই রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সরকার মুসলিমদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে মন্দিরগুলো সংস্কারও করেছে, যদিও সেসব মন্দিরে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্তও হয় না।
৩) চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি রাস্তা নির্মাণকালে একটি মন্দির ও ৪০টি হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন অগ্রিম আশঙ্কায় হিন্দু নেতারা সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর সাথে দেখা করে। তখন ভারতের এই একনিষ্ট গোলাম তাদের আশ্বাস দেয়, রাস্তা বাইপাস করে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষা করা হবে।
৪) নরসিংদী শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ নয় বছর আটকে আছে হিন্দুদের একটি আখড়ার কারণে। হিন্দু বাউলরা সেখানে থাকে। অথচ হাজার হাজার মানুষের জীবন ও শহর রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।
৫) রাজধানীর মিরপুর পাঁচটি মসজিদ ও একটি মাদরাসা যেই কারণে ভেঙ্গে দিয়েছে হাসিনা সরকার, সেই একই কারণ থাকা সত্তেও ‘নাজারেথ নভিসিয়েট’ ও ‘এসএল লুইজেন সিস্টার্স’ গির্জা অক্ষত রাখা হয়েছে।
শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি ভারতের গোলাম সরকার। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুশরিকদের জন্য ১৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে হাসিনা সারকার। কিন্তু এতেও মন ভরেনি মুশরিকদের। ঐ বছরের ২৩ জুন রোববার, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘জহুর হোসেন চৌধুরী’ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’ নেতারা ভারতের গোলাম সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি জানায়। যার মধ্যে রয়েছে, মুশরিকদের জন্য যেন ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, বিগত চার দশকের বৈষম্য নিরসনে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও মুশরিকদের জন্য যেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
একই বছর অর্থাৎ ২০১৯ ঈসায়ী সনের ১২ মে প্রকাশিত কালের কণ্ঠের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ঐবছর
বৌদ্ধ পূর্ণিমায় শেখ হাসিনা সারা দেশে দুই হাজার ৮৫টি বৌদ্ধ মন্দিরে বিভিন্ন অনুদান বিতরণ করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ভারতকে সন্তুষ্ট করতে সারা দেশে মুশরিক হিন্দুদের মন্দির সংস্কার-মেরামতের জন্য পৌনে তিনশ (২৭৬) কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের ঘোষণাও করে আওয়ামী সরকার। ঐ বছরই উল্লেখিত বরাদ্দের বাইরে সারা দেশের মন্দির সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৪৭৭ কোটি টাকার কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী সরকার।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর যুগান্তর পত্রিকা তাদের এক আর্টিকেলে লেখে, দেশব্যাপী সংস্কার ও মেরামত কর্মসূচির আওতায় মুশরিক হিন্দুদের ১ হাজার ৮৩৩টি মন্দির, আশ্রম, মঠ, আখড়া, শ্মশান সংস্কার-মেরামত-উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য ৯১৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রামসহ চারটি জেলার বিদ্যমান ১৪৯টির হিন্দু প্রতিষ্ঠান সংস্কার মেরামত ও উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অন্যান্য সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এবং শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী কালীমন্দিরের জন্য ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, হবিগঞ্জ জেলার বিদ্যমান ৪৮টি হিন্দুধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়।
সংস্কার কর্মসূচির বাইরে মুশরিকদের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বাড়াতে ২৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং ‘লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান’ উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়নে ১২১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ গত ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সারাদেশের ১৮১২টি মন্দিরের সংস্কার করতে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ‘সমগ্র দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার’ শীর্ষক প্রকল্পটি আগামী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন করবে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
একবার চিন্তা করুন তো! মুশরিক হিন্দুদেরকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে আওয়ামী সরকার যেই বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে, তা কার টাকা? এদেশের হিন্দুদের টাকা? এদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কত? তারা কত টাকা ট্যাক্স দেয়? তাহলে এই টাকা কি আওয়ামী প্রশাসনের নেতাদের টাকা?
না, বরং এই বিপুল অর্থ তাদের কারোরই না বরং এর সম্পূর্ণটাই আমার আপনার অর্থাৎ এদেশের মুসলিমদের ঘামে অর্জিত কষ্টের টাকা। আমার আপনার অর্থাৎ আমাদের মুসলিমদের কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে ভারতের গোলাম সরকার এদেশে মালাউন হিন্দু মুশরিকদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
অপরদিকে আমাদেরই ট্যাক্সের টাকায় ফুলে-ফেপে উঠে আজ আমাদেরই মসজিদ মাদ্রাসাগুলো বিভিন্ন অযুহাতে ভাঙছে। মুসলিম ও আলেমগণের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছে, বুড়িগঙ্গায় আমাদের আলেমদেরকে ফেলে দেওয়ার কথা বলছে, সত্য উচ্চারণ কারলে আমাদের ঘাড় মটকিয়ে দেওয়ার কথা বলছে, আমাদেরকেই এদেশ থেকে বিতাড়িত করার হুংকার দিচ্ছে। এদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
এই নিপীড়ক ও অত্যাচারী মুসলিম বিদ্বেষী ভারতের গোলাম শাসকদেরকে থামানোর এখনও সময় আছে, অন্যথায় তারা একের পর এক আপনাদের মসজিদগুলো ও মাদ্রাসাগুলো ধ্বংস করে দিবে। কুফরি ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীদের রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার পথকে আরো দ্রুততার সাথে প্রশস্ত করবে, আর তখন আপনি নীরব দর্শক হয়ে অত্যাচারীদের দলে যোগ দেবেন।
হে সচেতন দেশবাসী ও আমাদের ঘুমন্ত মুসলিম শার্দূলেরা! সময় থাকতে ঈমান ও দেশ, নিজেদের রক্ত নিয়ে হিন্দু মুশরিকদের হোলি খেলা থেকে বাঁচতে, আপন মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার্থে আবারো যুগের মুহাম্মদ বিন কাসিম আর তারিক বিন যিয়াদ হয়ে জেগে উঠুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর সমাজ গড়তে প্রস্তুতি গ্রুহণ করুন।
লেখক: ত্বহা আলী আদনান, প্রতিবেদক: আল ফিরদাউস নিউজ
রেফারেন্স:
[1] উন্নয়নের নামে মসজিদ ভাঙার অভিযোগ, দৈনিক ইনকিলাব,২৬ জুন,২০১৮- https://tinyurl.com/y5zdb27w
[2]
[3]
৪-
https://www.ittefaq.com.bd/national/34241/
৫-
https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/05/12/768642