হিন্দু যুবককে মিলামিশা করতে বারণ করায় বাবাকে খুন, মেয়েকে ধর্ষণ

2
1826
হিন্দু যুবককে মেয়ের সাথে মিলামিশা করতে বারণ করায় বাবাকে খুন করে মেয়েকে ধর্ষণ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাটুয়ামহল গ্রামের মৃত মুসলিম মিয়ার ১৪ বছরের কন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে ধর্ষণ করে আসছে একই গ্রামের খগেন বর্মনের পুত্র মিনাল বর্মন।

সে দীর্ঘদিন ধরে জোর করে মেয়েটির সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছিল।  কিন্তু মেয়েটির বাবা তাদের এই অনৈতিক সম্পর্ক করার কথা জেনে যাওয়ায় ছেলেটিকে তার মেয়ের সাথে মিলামিশা করতে নিষেধ করেন। মেয়েটির বাবা মুসলিম মিয়া ছেলেটি কে বলেন মুসলিম মেয়ে হিন্দু ছেলের এই সম্পর্ক সমাজ মেনে নিবেনা তাই ভবিষ্যতে যেন তার মেয়ের সাথে কোন যোগাযোগ করা না হয়।

এতে মিনাল বর্মন ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটির বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মেয়েটির বাবা মুসলিম মিয়া মাঠিতে লুঠিয়ে পড়ে,পরে স্থানীয়রা মুসলিম মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মুসলিম মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে মিনাল বর্মন কে প্রধান আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর আসামি মিনাল বর্মন ১০/১১ মাস পরে উচ্চ আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে পূণরায় মেয়েকে নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পার্শ্ববর্তী এক মহিলার সহযোগিতায় ধর্ষণের চেষ্টা করে।

গত ১২ই ডিসেম্বর শনিবার মেয়েটি মৃনালের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির কিসামত নাখেন্দা নানা বাড়িতে বেড়াতে আসলে মৃনাল মেয়ের গতিবিধি পূর্ব থেকে পর্যবেক্ষণ করে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি ফাকা পেয়ে মৃনাল বর্মন মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মৃনাল বর্মন কে আটক করে রাখে। পরে মেয়েটি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন “আমার বাবার হত্যাকারী মৃনাল বর্মন জেল থেকে বেড়িয়ে এসে আমার মাকে বাবার মত মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। আমি আমার মায়ের জীবন বাঁচাতে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি হয়েছিলাম। মৃনাল আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমার মতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতো। আমি এবং আমার মা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

 

2 মন্তব্যসমূহ

  1. হায় আফসোস এই দিনও দেখতে হবে ভাবি নাই। আমরা যদি অন্তত এই জমিনে নজরদারি রাখতাম। আরো আগে একটা ভিডিওতে বলা হয়েছিল
    “আপনারা জিহাদ করতে চান?অথচ নিজের বোনের নজর রাখেন না। সেই ভাই একটা ভিডিও দেখিয়েছিলেন যা সিসিটিভিতে ছিল।
    এটাতো ধরা পড়ায় এসেছে আড়ালে যে আরো কতজন এইভাবে ভুগছে জানা নেই।

  2. আস্তাগফিরুল্লাহ। বাংলাদেশে এতো বিশাল মুসলিম জনসংখ্যা থাকতে এই মালাউন এতটা সাহস পেল কেমনে। আমি হেডিংটা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম এটা ভারতে।
    একজন মুসলিম বাবা শুধু বারণ করল কেন? মেরে ফেলতে পারল না?
    নিজে না পারলে কারো সাহায্য নিত।
    যাই বাবা পারেনি। তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তখন এলাকাবাসী কি করেছে? গণ পিটুনি দিয়ে মেরে ফেলতে পারল না? কল্লাকাটা, ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে মারতে পারলে ধর্ষককে মারতে পারবে না কেন?
    বাদ দিলাম তারপর জেলে গেল। সেখান থেকে এত সহজে জামিন পায় কেমনে?
    আচ্ছা এটাও বাদ দিলাম। জামিন পেয়ে নিজের এলাকায় ফিরে এত নিশ্চিন্তে থাকে কেমনে? আবার মেয়ের মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটা কাউকে জানানোর সুযোগ পেল না? আবার পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। মাকে বাঁচানোর জন্য অনৈতিক কাজে রাজি হয়।
    আবার সবশেষ প্রতিবেশীরা তাকে আটকে রেখেছে। গণ পিটুনি দিয়ে এখন যদি না মারে তো কখন মারবে। প্রশাসন যখন বিচার করে নি তখন আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আর উপায় কি?

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামের মন্ত্রিসভায় মাদরাসা ও টোল বন্ধের সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধফের দখলদার ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিচ্ছে তুরস্ক