মালিতে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে বিমান হামলা চালিয়েছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। এতে নারী-পুরুষসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।
বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার মধ্য মালিতে হামলা চালিয়েছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। ফরাসি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার বলেছে যে, তারা কয়েক ডজন আল-কায়েদা যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই আঘাত করেছে। এদিকে গ্রামবাসী এবং একটি স্থানীয় সমিতি, বিবাহের সময় বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের আক্রান্তের কথা বলেছেন।
সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে যে, রাজধানী বামাকো থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে মধ্য মালির মোপ্তি রাজ্যে আল-কায়েদা নিয়ন্ত্রিত বাউন্তি গ্রামের একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে বিমান হামলা চালিয়েছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। সাবাত নিউজ এজেন্সীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো অনেকেই।
এএফপি-র সাক্ষাতকার দেওয়া গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, একটি বিয়ের সময় হেলিকপ্টার থেকে তাদের অনুষ্ঠান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। এই হামলায় তারা ২০ জন গ্রামবাসী মারা যাওয়ার কথা বলেছে। যখন নিরপরাধ মানুষ হত্যার বিষয়টি জুড়ালো হতে শুরু করল, তখন ক্রুসেডার ফ্রান্স হামলার দাবি অস্বীকার করে বসে। অথচ একদিন আগেও তারা এই হামলার বিষয়ে গর্ব করে বলছিল যে, তারা এখানে কয়েক ডজন আলকাযেদা সদস্যকে টার্গেট করে সফল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখন তারা বিষয়টিকে অস্বীকার করছে।
ঘটনাস্থলে যোগাযোগ করার পর প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানান, দিনের আলোতে হেলিকপ্টারটি বিয়ের জন্য জড়ো হওয়া জনতার উপর হামলা চালিয়েছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। আহমদৌ ঘানা নামক একজন জানান, হামলার পর আমি নিজেকে ঝোপের মধ্যে দেখতে পেলাম, কিন্তু এই হামলায় আমি নিজ দুই ভাইকে হারিয়েছি। তিনি জানান সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গ্রামবাসীরা জানান, আমরা ফ্রান্সের এই ধরণের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হেলিকপ্টারটি খুব নীচেই উড়ছিল, যেখান থেকে সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাওয়ার কথা। এটি ফরাসী সৈন্যদের অনিচ্ছাকৃত কোন হামলা নয়, বরং তারা এটা জেনে বুঝেই সাধারণ মুসলিমদের লক্ষ্য করে পরিচালনা করেছে।
সুযোগ পেলে মালিতে জিহাদে যোগ দিতাম