ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের হেবরনের কাছাকাছি একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বুধবার হেবরনের দক্ষিণে উম্মে কুসাহর অন্যান্য স্থাপনার সাথে মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
মসজিদটির কাছাকাছি থাকা স্থানীয় একটি স্কুলের পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াতিমিন বলেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় লাইসেন্স না থাকার অজুহাতে এই স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান, স্কুলের খাবার পানির জন্য ব্যবহৃত একটি কুয়াও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিলিস্তিনিরা অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বিশেষ করে পূর্ব জেরুসালেমে খুব কমই নতুন স্থাপনা তৈরির অনুমতি পান। স্থাপনা তৈরির অনুমতির জন্য ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করে, যা বেশিরভাগ লোকের পক্ষেই পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। এই প্রক্রিয়া ইসরাইলের জন্য ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আরো ভূমি দখলের সুযোগ করে দিচ্ছে। নিজেদের স্থাপনার অবকাঠামোর উন্নতিতে বাধা পাওয়া ফিলিস্তিনিরা এতে নিজ ভূখণ্ডেই অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েছেন।
এ দিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের খামিস আল-জাহালিন ও বির আল-মাশকুব এলাকায় মোট তিনটি গবাদি পশুর খামারের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমকে অধিকৃত ভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইন অনুসারে এই ভূখণ্ডের সব ইহুদি বসতি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত।
ফিলিস্তিনি স্থাপনা ধ্বংস ও অবৈধ বসতি স্থাপনে ইসরাইলের চলমান কার্যক্রম সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে দেশটির স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তির পর আরো বেড়েছে। ইসরাইলের এই কার্যক্রমে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। নয়া দিগন্ত