ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে শহীদ ছেলের লাশ হস্তান্তরের জন্য পুলিশের নিকট দাবি জানালে ভারতীয় মালাউন পুলিশ ছেলেটির ৪০ বছর বয়সী বাবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা করেছে।
গত (মঙ্গলবার ৯ ফেব্রুয়ারি) ডেইলি জং ঊর্দূ আরব নিউজের বরাত দিয়ে জানায়, পুলিশের দাবি, ৩০ ডিসেম্বর বারমুল্লা জেলায় সেনাবাহিনীর সাথে কথিত সংঘর্ষে নিহত তিন যুবকের মধ্যে মোশতাক ওয়ানির ১৬বছরের ছেলে আতহার মোশতাকও ছিলো। কিন্ত যুবকদের পরিবার জানিয়েছে, তারা ছাত্র ছিল।
যুবকের পিতা আরব নিউজকে বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেছি, আমার সন্তান সরকারবিরোধী এবং নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে প্রমাণ দেখান৷ কিন্ত তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
সুত্র অনুসারে, পরিবারের সদস্যদের প্রতিবাদ এবং যুবকের নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার পরেও স্থানীয় প্রশাসন তিন যুবককে নিজেদের জেলা পুলওয়ামার ১০০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামের কবরস্থানে দাফন করে।
আতহার মোশতাক একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং পিতা-মাতার একমাত্র ছেলে ছিল। মুশতাক ওয়ানী বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তাঁর ছেলের লাশ গ্রামের পূর্বপুরুষদের কবরস্থানে দাফনের জন্য হস্তান্তর করে। কিন্ত পুলিশ তা মানেনি৷
স্থানীয় পুলিশ এখন “উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড নির্মূলে ” বাধা দেওয়ার অভিযোগে মোশতাক ওয়ানিসহ তার আরও ছয় আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মোশতাক ওয়ানী ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ‘‘অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে’’ মামলা করা হয়েছে, যেই মামলা থেকে আদালতে জামিন পাওয়া যায় না।
পুলওয়ামার সিনিয়র পুলিশ সুপার অশীষ কুমার মিশ্রা আরব নিউজকে বলেন, এই মামলাটি অবৈধভাবে লোক জমায়েত করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের জন্য দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল থেকে, ভারত সরকার অজানা কবরস্থানে নিহত স্বাধীনতাকামীদের লাশ তাদের নিজ শহর থেকে দূরে কবর দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে আসছে, ফলে নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের কাজে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এরকম আচরন কেনো করে তারা?