কুমিল্লায় মাহফিলে আক্রমণ, আয়োজকদের হত্যার হুমকি দিল স্বঘোষিত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান

0
901
কুমিল্লায় মাহফিলে আক্রমণ, আয়োজকদের হত্যার হুমকি দিল স্বঘোষিত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের শ্রোতাদের উপর আওয়ামী গুন্ডাবাহিনীর হামলা এবং আয়োজক ও উপস্থিত শ্রোতাদের হত্যার হুকমি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি এই বর্বর হামলা চালানো হয়।

কুমিল্লার গোবিন্দপুরে পূর্বঘোষিত ওয়াজ মাহফিলে আমন্ত্রিত আলোচক মাওলানা হাসিবুর রহমানের আলোচনা চলাকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দীন শামীম মঞ্চে উঠে প্রথমে ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বক্তার আলোচনা থামিয়ে দেয়। এরপর মাইক হাতে নিয়ে মাহফিলের আয়োজক ও ধর্মপ্রাণ শ্রোতাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান শামীমের ভাষ্য ছিল নিম্নরূপ:

“ আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিলাম। আমার সামনে চোখ রাঙিয়ে যারা কথা বলছে আগামীদিন আমি তাঁদের মায়ের… (সংযত হয়ে) কসম করে বললাম, তাঁদের মায়ের পেটের বাচ্চা পর্যন্ত আমি মেরে ফেলব। আমি সন্ত্রাসী থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি গুণ্ডা… আমি বলে দিলাম, যে চোখ রাঙিয়ে কথা বলছে তাঁর লাশ খুঁজে পাবিনা তোরা। আয়… তোরা আয়। আয়… কার কি ক্ষমতা আছে আয়। ওর লাশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারিবি না লাকসামের মাটি থেকে। দেখি তোরা আজ কীভাবে বাড়ি যাস আমি দেখব। আমার সমস্ত লোক রেডি আছে।”

সন্ত্রাসী আওয়ামী নেতা শামিম আরো বলে, “এটা আওয়ামী লীগ শাসিত সরকারের আমল, খবরদার বলে দিলাম শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় বসবাস করছেন, আমরা শান্তি বিনষ্ট করি নাই, আমরা ঘর থেকে তুলে আনবো সে ব্যবস্থা আমাদের আছে।”

আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের পর আলোচক মোনাজাতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মাহফিল শেষ করতে বাধ্য হন। মাহফিল শেষ হবার সাথে সাথে শামীমের গুন্ডাবাহিনী উপস্থিত শ্রোতাদের উপর উপর্যুপরি সশস্ত্র হামলা চালায়। মাওলানা হাসিবুর রহমানের ভাষ্য মতে মসজিদে আশ্রয় নেয়া সাধারণ মুসল্লিরাও এই বর্বর আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি।

ওয়াজ শুনতে আসা শ্রোতাদের বেশকিছু মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, আলোচক মাওলানা হাসিবুর রহমানের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই হামলার ঘটনায় প্রচুর সাধারণ ধর্মপ্রাণ শ্রোতা আহত হয়েছেন। তাদেরকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হবার পরও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দেশের কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে লীগ-সন্ত্রাসীদের ভয়ে জনমানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে শহীদ ছেলের লাশ চাওয়ায় পিতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধনির্বিচারে মালাউনদের সীমান্ত হত্যা: কড়া সমালোচনা করল এইচআরডাব্লিউ