কানাডা দখলদার ইসরায়েলর থেকে হার্মিস-৯০০ ড্রোন ক্রয় করেছে। ইসরায়েল এই ড্রোনগুলোর কার্যকারিতার পরীক্ষা চালিয়েছিল যখন তারা গাজায় আগ্রাসন চালায়। ফলাফল ইতিবাচক হওয়ায় বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছেন আল-কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক। খবরে বলা হয়, গত বছর ইসরায়েল থেকে ২৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ড্রোন ক্রয়ের চুক্তি করেছে কানাডা।
ইসরায়েলি সংবাদ মধ্যমে বলা হয়, ‘প্রথমবারের মতো এই ড্রোনগুলো গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। এতে আশানুরূপ কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হয়েছিল’।
উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালের গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৫০ শিশুসহ ২,২০০-এরও অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়৷ এ সময় বর্বর ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলায় অনেক পরিবারের সকল সদস্য নিহত হয়েছিল।
ইসরায়েলি বানিজ্যিক সংবাদ মাধ্যম গ্লোবসের খবরেও উঠে আসে যে, ‘২০১৪ সালের গ্রীষ্মে অপারেশন প্রোটেকটিভ এজের শেষ দিনগুলিতে বিমান বাহিনী গাজায় হার্মিস 900 ব্যবহার করেছিল। তবে এটি তখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে নিরিক্ষা পর্যায়ে ছিল’।
কানাডা দাবি করছে যে, ইসরায়েল থেকে ক্রয় করা ড্রোনগুলো আর্কটিক অঞ্চলে নজরদারি কাজে ব্যবহার করা হবে।
যদিও, কানাডার এর আগে পশ্চিম তীরে নিয়ে আইসিসির একটি রায়ের বিরুদ্ধে বলেছিল যে, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং জেরুজালেম ফিলিস্তিনিদের। এর উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনকে তারা স্বীকৃতি দিবে না। এরপরও ইসরায়েলের কাছ থেকে ড্রোন কিনছে দেশটি।
কানাডা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জোর দিয়ে আসছিল মুখে মুখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডা উপরে উপরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দ্বি-রাষ্ট্রের কথা বলছে। আবার ইসরায়েল থেকে ড্রোন কিনছে, এতে রক্তপিপাসু ইসরায়েলর হাতকেই শক্তিশালী করছে তারা।
যদিও ট্রুডো সরকার নিজেদের মানবাধিকারের ধ্বজাধারী মনে করে। অথচ, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নৃশংসতা সত্ত্বেও, দেশটি সৌদি আরবের সাথে তার অস্ত্রের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।