মহানবীর (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করায় ফ্রান্সের এক স্কুল শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল গত অক্টোবরে। সেই ঘটনায় হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে স্কুলটির মাত্র ১৩ বছরের এক মুসলিম ছাত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত শিক্ষকের আইনজীবী জানান, গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাতি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করার আগে ক্লাসে কেউ থাকতে না চাইলে চলে যাওয়ার অনুমতি দেন। এ সময় মুসলিম ছাত্রীটি ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রীটি বলেছে, বাড়ি গিয়ে আমি আমার বাবা-মাকে বিষয়টি বলি। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কথাটি জানিয়ে পোস্ট দিলে তা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রীটির বাবা এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি।
এদিকে, রাসূল প্রেমিক আব্দুল্লাখ আজোরোভ নামে ১৮ বছরের এক চেচেন বংশোদ্ভূত সাহসী যুবক গলা কেটে ওই কুলাঙ্গার শিক্ষককে হত্যা করেন। সন্ত্রাসী পুলিশও ওই যুবককে গুলি করে শহিদ করে দেয়। মুসলিম ছাত্রীটির আইনজীবী বেকো টাবুলা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের সময় সে ক্লাসে ছিল না।
সূত্র: বিবিসি