সারা দেশে কওমি মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ। গতোকাল সন্ধায় মাফিয়া সরকারের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেয়।
ব্রিফিংয়ে করোনার প্রকট বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে সে। উক্ত ব্রিফিংয়ে এবার কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে করোনার খোড়া যুক্তি সামনে নিয়ে আনা হয়। গতো বছর ১৭ই মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। মাঝে সীমিত পরিসরে স্কুল কলেজ খুলে দিলেও ভ্যাক্সিন ব্যবসা অর্জিত না হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করে বিভিন্ন টালবাহানা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই দূর্বল! তবুও মাফিয়া সরকারের কেমন যেন কোন সমস্যাই নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেলেও কোন নজরই দিচ্ছে না তারা।
অন্যদিকে ব্রিফিংয়ে এবার কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অথচ মাদ্রাসাগুলো দীর্ঘদিন খোলা থাকলেও করোনায় কেউ মারা গেছে এমন কোন তথ্য কারোই জানা নেই। তাহলে কেন এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নিল এমন প্রশ্ন সবার। তবে কারণ হিসেবে চলমান আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকেই সামনে নিয়ে আসছেন প্রায় সকল ঘরানার জনগণ। একমাত্র সরকারদলীয় লোকজনেরই রয়েছে বিপরীত ধারণা!
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে চোখ রাখলে দেখা যায় মাফিয়া সরকারের অনবরত জুলুমে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। আর করোনা ইস্যুতে আরো বিরক্ত তারা। আবার ইসলামের উপর মাফিয়া সরকারের চলমান আগ্রাসন আরো বেশি ক্ষেপিয়ে তুলেছে তাদের। গতো দুইদিন ধরে সেই চিত্র প্রত্যক্ষ করেছে সারা বিশ্ব। মাফিয়া সরকার দ্বারা ১৮ জন শহীদের লাশ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করেছে দল, মত নির্বিশেষে সকল মানুষের অন্তর। শহীদ বাড়িয়াতে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী পুলিশের উপর সাধারণ মানুষদের চড়াও হওয়া সেটাই প্রমান করে। পাশাপাশি সারাদেশেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ স্পষ্ট। এর কারণে মাফিয়া সরকার অনেকটাই একঘরে হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আবার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের অনেক নেতা কর্মী আওয়ামীলীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছেন। বিষয়টি জালিম সরকারের কাটা গায়ে নুনের ছিটার মতো কাজ করছে।
এসকল কারণে মাফিয়া সরকার অনেকটাই একমুখী ও দূর্বল হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য এঁটেছে নতুন ষড়যন্ত্র। করোনার থেকে ঠুনকো অজুহাত আর নেই তাদের সামনে। তাই করোনার কৃএিম সংকট তৈরি করে করছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পায়তারা!
অথচ, তারা জনগণের বিপুল অর্থ ব্যয় করে ভারত থেকে করোনা ভ্যাকসিন এনেছিল। তাই জনমনে প্রশ্ন জেগেছে ভ্যাকসিন আনার পর কি করোনার প্রভাব আগের চেয়ে বেড়ে গেছে?
দেশ বাচাও মাফিয়াকে জাবাই কর।
দেশকে মাফিয়াদের থেকে রক্ষা করুন,
নিজের ঈমান কে বাচান ও মুজাহিদদের কাতারে যোগ দিয়ে মুসলিম ভূঘন্ডকে তাগুতদের থেকে উদ্দার করুন ও জিহাদের ফারিজা আদায় করুন……..