গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে হারুন ইজহারের বড় ছেলেকে লাথি, ছোট ছেলেকে জোরে থাপ্পড়

5
1820
গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে হারুন ইজহারের বড় ছেলেকে লাথি, ছোট ছেলেকে জোরে থাপ্পড়

সদ্য বিলুপ্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদরাসার পাশে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

লালখান বাজার মাদরাসার শিক্ষক সিরাজুল মোস্তফা ফেস দ্যা পিপলকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার কিছু আগে র্যাবের একটি দল লালখান বাজার মাদরাসা ঘেরাও করে। পরে মাদরাসার উত্তরপাশে ইফতা বিভাগের নিচে হারুন ইজহারের বাসা ঘেরাও করে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়।

উনার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের লোকেরা গ্রেফতার করতে এসে সরাসরি উনার বাসার একদম ভেতরে ঢুকে পড়ে। উনার পর্দানশীন আহলিয়াকে বোরকা পড়ার সুযোগটা পর্যন্ত দেয়নি। এমনকি হারুন ইযহার সাহেব বাসায় যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায়ই নিয়ে যেতে চায়। পাঞ্জাবীটাও পড়তে দিতে চায় নি।
নিয়ে যাওয়ার সময় হারুন ইযহার সাহেবের ট্যাব সহ যাবতীয় ডিভাইস দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। উনার আহলিয়া দিতে না চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
শায়েখের বড় ছেলে আম্মার এসে পুলিশের পায়ে পড়ে বলে, “আব্বা তিন বছর জেলে কষ্ট করেছেন। উনি এখন জামিনে আছেন। এভাবে তাকে নিয়ে যাবেন না”। র্যাব আম্মারকে লাথি মেরে ফেলে দেয়।
ছোট ছেলে আইমান সামনে এসে দাড়ালে তাকে এত জোরে থাপ্পড় মারে যে তার চশমা বাকা হয়ে যায়।
জামিনে থাকা একজন ব্যক্তিকে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া প্রশাসন এভাবে গ্রেফতার করতে পারে কিনা সে প্রশ্ন তোলার পরিবেশও আমাদের দেশে নেই। উনি একজন বড় মাপের আলেম।  যদি ধরেও নেই হারুন ইযহার সাহেব অপরাধী, এরপরও কি এসব নির্যাতনের বৈধতা দেওয়া যায়? এসবের বিচার কি আল্লাহ করবেন না?

এরকমভাবে প্রশ্ন তুলেছেন সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেই!

সরকার কেমন যেন সাধারণ জনগণের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবেই সংঘর্ষে জড়াতে চাচ্ছে! একে একে সত্যের উপর থাকা সকল আলিমদের টার্গেট করে এগোচ্ছে মাফিয়া হাসিনা সরকার।

এর কারণ হিসেবে মোদির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের কথাই চলে আসছে সবার আগে।

5 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to abrar প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্যরাতে মুফতি হারুন ইজাহারকে তুলে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী র‌্যাব
পরবর্তী নিবন্ধএক দশক পরেও শেষ হয়নি ছোট সেতু নির্মাণ, ব্যয় বেড়েছে ৬২%