সরকারের বন্দোবস্ত দেওয়া নিয়ে গুরুতর অনিয়ম

1
652
সরকারের বন্দোবস্ত দেওয়া নিয়ে গুরুতর অনিয়ম

নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারি খতিয়ানভুক্ত পেট বিষার বিলের একাংশ কৃষিজমি দেখিয়ে ছয়টি পরিবারকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। সম্প্রতি ওই বিলের জমি নিয়ে মৎস্যজীবী, কৃষক ও বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। দুই পক্ষই বিলে যাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে।

এদিকে বন্দোবস্ত পাওয়া ছয়টি পরিবারকে ভূমিহীন বলা হলেও তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। সরেজমিনেও তাদের নিজস্ব জমি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ওই বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা শতাধিক ব্যক্তি ও কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। স্থানীয় লোকজন জানান, ২ দশমিক ৮০ একর বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আশপাশের ভূমিহীন পরিবারগুলো। সেচের কাজেও এই বিলের পানি ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক মৌসুমেও বিলে পানি থাকে।

অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিলের ১ দশমিক ৬৫ একর অংশকে কৃষিজমি দেখিয়ে ৬ জনকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করে দেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ তামান্না। তিনি বর্তমানে ঢাকার সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে কর্মরত।

মুঠোফোনে নাহিদ তামান্না বলেন, খাসজমির তালিকায় বিলটির ওই অংশের দোলা (কৃষিজমি) হিসেবে উল্লেখ আছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের প্রত্যয়ন অনুযায়ী ভূমিহীনদের নির্বাচন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে পরে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করে দেওয়া হয়।

খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক জিতেন্দ্র নাথ রায় (৫০) বলেন, ২০১৪ সালে কৃষি বিভাগ (সেচ) আইপিপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলটি পুনঃখনন করে।

বন্দোবস্ত পাওয়া ৬ পরিবারের মধ্যে ৬২৩০ নম্বর দলিলে দক্ষিণ কিসামত গোড়গ্রামের হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী নূর নাহার সিকদার পেয়েছেন ৩০ শতক। হাবিবুর রহমানের কৃষিজমি আছে ২৮ শতক। বন্ধক নিয়ে চাষ করেন আরও চার বিঘা জমি। নূর নাহার সিকদার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহায়ক পদে কর্মরত। চার কক্ষের আধা পাকা বাড়িও আছে তাঁদের। তবে ছেলেমেয়েকে নিয়ে নূর নাহার সিকদার জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।

বন্দোবস্ত পাওয়া বাকি পাঁচ পরিবারের মধ্যে চারটিই হাবিবুর রহমানের আত্মীয়ের। সরেজমিনে তাঁদের সবারই নিজস্ব জমি ও পাকা, আধা পাকা বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম আলো

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী
পরবর্তী নিবন্ধসৌদির পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে মুশরিকদের বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনীর গ্রন্থ রামায়ণ-মহাভারত