চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্তই আফগানিস্তানের ৫টি প্রাদেশিক রাজধানীতে সরাসরি অবরোধ আরোপ করেছেন তালিবান মুজাহিদিন। এছাড়াও বর্তমানে আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রাদেশিক রাজধানীর ১৯ টিই অবরোধ করে রেখেছেন তালিবান মুজাহিদিন।
আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার কথিত সন্ত্রাস দমনের মিশন “অপারেশন ফ্রিডমস সেন্টিনেল” এর খোদ লিড ইন্সপেক্টরও এই কথা স্বীকার করেছে। গত মে মাসের ১৮ তারিখে প্রকাশিত তার তৈরি করা একটি রিপোর্ট, যেখানে চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে আফগানিস্তানের সামরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে, সেখানে সে এই কথা জানায়।
রিপোর্টে সে আরো উল্লেখ করে, আফগানিস্তানে ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠা করার জন্য তালেবান যোদ্ধারা প্রথমে গত কয়েক বছর যাবত প্রাদেশিক রাজধানীর আশেপাশে থাকা গ্রাম ও জেলাগুলোতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। আর এভাবেই প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর আশেপাশের এলাকাগুলো কাবুল বাহিনীর হাতছাড়া হয়ে ক্রমেই তা তালিবানদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়তে থাকে। ২০২১ সালে এসে প্রাদেশিক রাজধানীগুলো ঘেরাও হয়ে পড়ায় তালিবান যোদ্ধারা এখন বড় ধরণের অভিযান পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় কয়েক দিন আগে বাগলান এবং হেলমান্দ প্রদেশে চালানো অফেন্সিভ বা আক্রমণাত্মক অভিযানগুলোতে।
তালেবান যেসব প্রাদেশিক কেন্দ্রগুলো অবরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের ধারপ্রান্তে সে সব প্রদেশগুলিকে এই ম্যাপটিতে নীল দেখানো হয়েছে
রিপোর্টটিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তালিবান যোদ্ধারা বর্তমানে তাদের সামরিক কৌশল প্রাদেশিক রাজধানী কেন্দ্রিক শুরু করেছে। তারা সেখানে বড় ধরণের আক্রমণ পরিচালনা করছেন এবং সরকারি বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর উপর জটিল ও সফল হামলা চালাচ্ছেন । এসব আক্রমণের মাধ্যমে সরকারি বাহিনীর সামরিকযান ও রসদপত্র এবং গোয়েন্দা বিভাগের সামর্থ্য নষ্ট করে দিয়ে তাদের দূর্বল করে দেওয়া হচ্ছে।
আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, তালিবান কর্তৃক অবরোধের শিকার দেশের ১৯টি প্রদেশই বর্তমানে তালিবানদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ইমারতের শরয়ী শাসন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। প্রদেশগুলোর রাজধানী কেন্দ্রীক মূল শহর ব্যাতিত এসব প্রদেশের সকল এলাকার অবস্থাই এখন একই। এছাড়া আফগানিস্তানের বাকি ১৫ টি প্রদেশের ৯০-৯৫% অঞ্চলই নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান। সেখানেও তারা দাপোটের সাথে ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করছেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে বাগলান প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-খুমরি, কুন্দুয প্রদেশের রাজধানী কুন্দুয সিটি, কান্দাহার প্রদেশের রাজধানী কান্দাহার সিটি, হেলমান্দ এর রাজধানী লশকরগাহ এবং উরুযগান এর রাজধানী তারিন কোট অবরোধ করেছেন তালিবান মুজাহিদিন। এছাড়াও তালিবানদের অবরোধের শিকার প্রদেশগুলো হচ্ছে- জাবুল, ফারাহ, বাদগিশ, ফারয়াব ও গজনি প্রদেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব শহর সহ প্রদেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ আরো ১২টি শহর তালিবান মুজাহিদদের ঘেরাওয়ের মধ্যে আছে এবং যেকোনো সময় তারা এসব শহরগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে দখলে নিতে সক্ষম।
তালেবান মুজাহিদীনরা শহরগুলোর আশেপাশের এলাকা দখল করতে ক্লাসিক গেরিলা ট্যাকটিক্স অনুসরণ করেছেন। তারা এলাকাগুলোতে আকস্মিক বড় আকারের হামলা চালিয়ে পুরোটুক দখলে নিচ্ছেন এবং শহরগুলোর আশেপাশের যত চেকপোস্ট আছে সেগুলোতে নিয়মিত আক্রমণ করে মুরতাদ বাহিনীকে দমিয়ে রেখেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে তালেবান।
আলহামদুলিল্লাহ। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে তালেবান। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়েরা সংবাদটি পড়ে অন্তর প্রশান্ত হয়ে গেছে।
শাবাশ! তালেবান😘😘😘😘…
ontor proshanto hoye gelo. Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
আজকের দিনে সবচেয়ে আনন্দদায়ক সুসংবাদ এটা আমার জন্য