খোরাসান | একের পর এক ইরান সীমান্ত অঞ্চলগুলো দখলে নিচ্ছে তালিবান

0
1436
খোরাসান | খুব দ্রুততার সাথে ইরান সীমান্ত অঞ্চলগুলো দখলে নিচ্ছে তালিবান

তালেবান মুজাহিদিন পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরত প্রদেশের ইরান সীমান্তরেখা ধরে খুবই দ্রতভেগে অগ্রসর হচ্ছে। দখলে নিচ্ছে একের পর এক সীমান্ত অঞ্চল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইরান-আফগান সীমান্তবর্তী বুলগেনিন ও কুহিস্তাত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে তালিবান ও মুরতাদ কাবুল বাহিনীর মাঝে সংঘর্ষ তীব্রতর হচ্ছে। তালিবান কাবুল বাহিনী থেকে অঞ্চলগুলির একের পর এক এলাকা দখলে নিচ্ছে। হেরাতে কাবুল সরকারের নিযুক্ত গভর্নরের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, ইরান-আফগানিস্তান ট্রেন লাইনের সুরক্ষায় থাকা কাবুল বাহিনীও উক্ত অঞ্চলগুলোতে তালিবানের হামলা থেকে এখন আর নিরাপদ নয়, তারাও এখন তালিবানদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ ৩০ মে সকাল বেলায়ও ইরান-আফগানিস্তান ট্রেন লাইনে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর উপর তীব্র হামলা চালিয়েছে তালিবান মুজাহিদিন। যাতে ৬ কাবুল সৈন্য নিহত এবং আরো ডজনখানেক সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে।

তালেবান মুজাহিদনরা সম্প্রতি হেরাতের পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্ব অঞ্চলে তাদের আক্রমণ তীব্র করেছেন, এসব অঞ্চলগুলোর সিংহভাগই এখন নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান। এদিকে আজ (৩০ মে) বিকাল বেলায় তালিবান মুজাহিদগণ হেরাত প্রদেশের দ্বিতীয় সবাচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঘোরিয়ানার কেন্দ্রীয় বাজার দখলে নিয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা তথ্যমতে তালিবান জেলাটির কেন্দ্রে বিকাল বেলায় ঢুকে পড়েছেন এবং তীব্র লড়াই শুরু করেছেনতালেবান মুজাহিদনরা সম্প্রতি হেরাতের পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্ব অঞ্চলে তাদের আক্রমণ তীব্র করেছেন, এসব অঞ্চলগুলোর সিংহভাগই এখন নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান। এদিকে আজ (৩০ মে) বিকাল বেলায় তালিবান মুজাহিদগণ হেরাত প্রদেশের দ্বিতীয় সবাচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঘোরিয়ানার কেন্দ্রীয় বাজার দখলে নিয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা তথ্যমতে তালিবান জেলাটির কেন্দ্রে বিকাল বেলায় ঢুকে পড়েছেন এবং তীব্র লড়াই শুরু করেছেন।

pixlr-20210530203407282

২০২০ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত দোহার চুক্তির আওতায় তালিবান মুজাহিদিন শান্তি প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ দেশজুড়ে আক্রমণ হ্রাস করেছিল। সেসময় তালিবান প্রাদেশিক এবং জেলা কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ বন্ধ রেখেছিল।

কিন্তু দোহা চুক্তি অনুযায়ী ১ মে এর মধ্যে ক্রুসেডার মার্কিন ও বিদেশী বাহিনী দেশ থেকে সরে না যাওয়ায়, তালিবানরা এখন দেশজুড়ে প্রাদেশিক এবং জেলা কেন্দ্রগুলোতে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে শুরু করেছে। তারা ইতিমধ্য ৯টি জেলা দখলে নিয়েছে।

IMG-20210530-200548-269

এদিকে হেরাত প্রদেশ হচ্ছে আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে প্রাদেশিক কেন্দ্র হেরাত শহরেও তালিবান মুজাহিদদের প্রভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। এছাড়াও হেরাত হচ্ছে মুরতাদ কাবুল সরকারের অন্যতম সহকারী ও নামধারী ইসলামিক দল জামায়াতে-ই ইসলামীর অন্যতম দুর্গ। প্রদেশটিতে দিন দিন কাবুল বাহিনী ও তাদের সহকারীদের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে।

IMG-20210530-200552-350

প্রদেশ জুড়ে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনী থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে আছে তালিবান। কেননা তালিবানরা এখন হেরত প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের পাশাপাশি উত্তর অংশও নিয়ন্ত্রণ করছে। কেন্দ্রীয় শহরগুলো ছাড়া প্রদেশটির ৮৫-৯০% এলাকাই বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান মুজাহিদিন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তান | মুজাহিদদের মাইন বিস্ফোরণে ২ মুরতাদ সৈন্য নিহত
পরবর্তী নিবন্ধসব খোলা থাকলেও শুধু স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ