তালিবানরা আফগানিস্তানের ৭টি প্রদেশে বিগত ২৪ ঘণ্টার (২৩ জুন) মধ্যে ১৫ টি জেলা এবং ৬০ টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছেন। এছাড়াও শত শত কাবুল সৈন্য ও পুলিশ তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ এবং আরও ৪০০ এরও বেশি সৈন্য মুজাহিদদের হাতে আটক হয়েছে।
কাবুল সরকারের একটি সুরক্ষা সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে টোলনিউজকে জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৮টি জেলা তালিবানদের হাতে পড়েছে। তবে তালিবানরা বলেছে যে তারা ১৫ টি জেলা এবং ৬০ টিরও সামরিক ঘাঁটি দখল করেছেন।
তালিবান মুখপাত্র- মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এবং ক্বারী ইউসুফ আহমাদির মতে, গতকাল তালিবান মুজাহিদগণ বাগলানের কেন্দ্রীয় বাঘলন, নাহরিন, খিঞ্জান, তালা, বারফার নয়টি সামরিক ঘাঁটি এবং পুলখামারী প্রদেশের ৪০ তম বিভাগের প্রধান সামরিক এবং চশমা শের ঘাঁটি, কুন্দুজ প্রদেশের চাহার দারা, কালা-ই-জাল, আলিয়াবাদ, গুল-তাপী জেলা, বাদাখশান প্রদেশের খাস জেলা, কান্দাহার প্রদেশের মাইওয়ান্দ জেলা, পাকতিয়া প্রদেশের চামকানো (শাহরনো) জেলা, দন্ডপট্টান জেলা, জানি খেইল জেলা, সৈয়দ কারাম জেলা ও রোহানী বাবা জেলা, গজনি প্রদেশের আব-বাঁধ জেলা, শালগর জেলা কেন্দ্র এবং জাবুল প্রদেশের শামালজাই ও শাজাই জেলা কেন্দ্রগুলো দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।
তালিবানরা বলেছেন যে, এসবন জেলা কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিগুলো বিজয়কালে কাবুল প্রশাসনের ৪০০ (চার শাতাধিক) সেনা, পুলিশ এবং ভাড়াটিয়া মিলিশিয়েনকে জীবিত ধরে নিয়েছে মুজাহিদগণ। মুজাহিদগণ গনিমত লাভ করেছেন কয়েক শতাধিক ট্যাঙ্ক এবং রেঞ্জার গাড়ি সহ ভারী ও হালকা কয়েক হাজার অস্ত্র এবং কয়েক শতাধিক গুলা-বারোদ ভর্তি বক্স।
তালিবানরা সাম্প্রতিক দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ ও মধ্য প্রদেশগুলিতে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, মুজাহিদগণ লড়াই ছাড়াই অনেক জেলা দখল করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্।
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ।কবে যে পুরো আফগান বিজয় হবে! তবে ইনশাআল্লাহ সুম্মা ইনশাআল্লাহ অচিরেই পুরো আফগান মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আলহমদুলিল্লাহ…
আল্লাহ তায়ালা তাদের বিজয় অব্যাহত রাখুন এবং মুমিনদের অন্তর প্রশান্ত করুন।
মুহতারাম ভাই!
অনেকেই বলে; তালেবান মুজাহিদীন তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পূর্ণরূপে ইসলাম কায়েম করেনি। যদি কায়েম করতই, তাহলে কিভাবে আফগান খেলোয়াড়রা গোটা বিশ্বের সামনে ক্রিকেট ফুটবলের মত হারাম খেলা খেলতে পারে।
আমার জানার বিষয় হলো, এসবের সাথে তালেবানদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এবং এসব হারাম খেলার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান কি,
জানালে উপকৃত হতাম।
খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রাজধানী দখল ছাড়া সম্ভব না। এছাড়া হত্যা করতে হবে। কিন্তু হারাম খেলার কারণে কাউকে হত্যা করা জায়েয না। বিশেষ করে নিজেদের এলাকার বাইরে যুদ্ধ করা যায়, কিন্তু আইন প্রয়োগ করা যায় না।
আলহামদুলিল্লাহ, এমন সব খবরে অন্তরটা তৃপ্তিতে ভরে ওঠে। মনের অজান্তেই দু’ঠোঁট ফেটে বেরিয়ে আসে- সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার, ফালিল্লাহিল হামদ!
প্রিয় মিডিয়াকর্মী ভাইগণ! আল্লাহ আপনাদের পরিপূর্ণ জাযায়ে খায়ের দান করুন, সারাবিশ্বের মুজাহিদীনের খবরগুলো আরো নিপুণভাবে আমাদের নিকট উপস্থাপনের তাওফীক দিন, আমীন।
প্রিয় ভাইয়েরা! একটি বানান অনেকদিন থেকেই চোখে বাজে। মনে করি হয়তো মিস্টেক হয়েছে, কিন্তু প্রতিটি সংবাদে এবং অনেকদিন থেকেই একই বানান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শব্দটি হচ্ছে ‘বারোদ’। মূলত হবে- বারুদ। জাযাকুমুল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা খোরাসানের বিজয়ের দ্বারা মুসলমানদের ইজ্জাহ ফিরিয়ে দিন।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হোক।
আলহামদুলিল্লাহ। হে আল্লাহ তুমিই সর্বোত্তম সাহায্যকারী।
Alhamdulillah