ফারিয়াব প্রদেশের কায়সার, দওলতাবাদ, শিরিন তাগাব, কোহিস্তান, পশতুনকোট এবং জুমা বাজার (খাজা সাবজপোশ) জেলাগুলি দখল করার পরে, গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তালিবান মুজাহিদগণ প্রদেশটির কৌশলগত আন্ডখো বন্দর জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে মতে, গত রাতে গারজিওয়ান জেলা কেন্দ্রের ৩০০ সরকারী সেনা তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং জেলা প্রধান মোল্লা ফয়জুল্লাহ রহমানি শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়, তার পলায়নের পর পরেই জেলাটি পরিপূর্ণরূপে তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এমনিভাবে তালিবানরা তীব্র লড়াইয়ের পরে বালচিরাগ, কুরামাকুল, কার্ঘান এবং আন্ডখোই জেলা কেন্দ্রগুলিও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
সূত্রমতে, বালচিরাগ জেলায় অভিযানকালে ১০০ কাবুল সৈন্য তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এবং বাকী সৈন্যরা পার্শবর্তী মাইমানার দিকে পালিয়ে গেছে। তবে কারামাকুল, কার্ঘান ও আন্দখোই জেলা বিজয়কালে জেলাগুলো উদ্ধার করতে কাবুল সরকারের কমান্ডো বাহিনী তালিবানদের সাথে ভয়াবহ লড়াই শুরু করে, অবশেষে কমান্ডোরা তালিবানদের হাতে সূচনীয় পরাজয় বরণ করে। যার ফলে ১২০ কমান্ডো নিহত হয় এবং আরও ৮০ কমান্ডোকে তালিবানরা জীবন্ত বন্দী করেন।
তালিবান মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমদী পৃথক টুইটে বলেছেন যে, ফরিয়াব প্রদেশের বালচিরাগ, গারজিওয়ান, আন্ডখোই, কারামাকুল ও কার্ঘান জেলাগুলি দখল করা হয়েছে এবং কয়েকশ গাড়ি ও অগণিত অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ গনিমত লাভ করেছেন মুজাহিদগণ।
সূত্র আরও জানায়, কাবুল প্রশাসনের বড় একটি কমান্ডো দল বর্তমানে আনখয় জেলার বাল হিসার এলাকায় তালিবানদের দ্বারা অবরোধের শিকার হয়েছে। তালিবানরা লাউড স্পিকারের মাধ্যমে কমান্ডোদের আত্মসমর্পণের আহ্বান করেছেন।
তুর্কমেনিস্তান সীমান্তে এবং আকিনা বন্দর অন্তর্ভুক্ত অ্যান্ডখয় জেলাটি তালেবান ও সরকার উভয়ের পক্ষে কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয় পক্ষই এই জেলাটিকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। তবে অবশেষে জেলাটি তালিবানরা নিজেদের করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
তালেবানরা এখনও আকিনা বন্দরে আক্রমণ শুরু করেননি। তবে আকিনা বন্দরের সমস্ত বাণিজ্যিক অফিস বন্ধ হয়ে গেছে এবং তালিবানরা তুর্কমেনিস্তান সীমানা বন্ধ করে দিয়েছেন যাতে কোন সৈন্য পূর্বের মত সীমান্ত হয়ে অন্য দেশে পালাতে না পারে।
তাজিকিস্তানের সীমান্তে তালিবানরা এই সপ্তাহে কুন্দুজ প্রদেশের ইমাম সাহেব জেলা দখল করার পরে শের খান বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। আফগানিস্তানের প্রধান কয়েকটি বন্দরের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম বন্দর।
আলহামদুলিল্লাহ
الحمد لله
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
alhamdulillah