মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব তূর্কিস্তানে চীনা প্রশাসন কর্তৃক উইঘুর জাতিগোষ্ঠী নিধন নীতিকেই সমর্থন করল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সাথে চীনের কম্যুনিস্ট শাসনব্যবস্থারও প্রশংসা করেছে সে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামাবাদ ভ্রমণ করে চাইনিজ নিউজ মিডিয়ার সদস্যরা। গত ১লা জুলাই বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এসব কথা বলে।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠনগুলো পূর্ব তূর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের উপর দখলদার চীনের জাতিগত নিধন ও নির্মূলাভিযান নিয়ে বিভিন্ন সময়ই প্রতিবেদন ও প্রতিবাদ করে আসছে। তারা কম্যুনিস্ট চীন কর্তৃক জাতিগত নিধন ও নির্মূলাভিযানকে গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে স্বীকৃত দেন।
গত মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে পূর্ব তূর্কিস্তানে চীনের জাতিগত নির্যাতনকে খুবই শোচনীয় পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করে।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনের দাবিকৃত চাইনিজ প্রশাসন কর্তৃক উইঘুর মুসলিমদের উপর কোনো নির্যাতন হচ্ছে না বলে মেনে নিয়ে মূলত উইঘুর জাতিগোষ্ঠী নিধনকেই পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানায়, ‘চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার যোগাযোগ আছে। পশ্চিমা মিডিয়ায় যেভাবে উইঘুর নির্যাতন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় বা পূর্ব তূর্কিস্তান নিয়ে পশ্চিমা সরকাররা যেভাবে কথা বলে তা সেখানে বাস্তবে যা ঘটছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত।’
ইমরান আরো বলে, ‘চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সুতরাং, চীন যেটা বলে সেটি আমরা বিশ্বাস করি। পূর্ব তূর্কিস্তান বিষয়ে তারা যে কর্মসূচির কথা বলে তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।’
সূত্রঃ আল জাজিরা
قد بدت البغضاء من أفواههم وما تخفی صدورهم اکبر
ইসলাম ও মুসলিমানের প্রতি বিদ্বেষ ওদের কথাবার্তায়ও ফুটে উঠেছে।
ওদের হৃদয়ে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আরো মারাত্মক।
لا ريب فيه أخي الكريم
আল্লাহ তা’আলা মুসলিম উম্মাহ ও তাদের কর্ণধার আলেমগণকে সুবোধ দান করুন। আমীন।