সোমালিয়ায় আল-কায়েদার কাছে কুফ্ফার বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়, ৩টি শহর বিজয় এবং ৭০ সৈন্য নিহত

9
2618
সোমালিয়ায় আল-কায়েদার কাছে কুফ্ফার বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়, ৩টি শহর বিজয় এবং ৭০ সৈন্য নিহত

সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় মাদাক রাজ্যে কুফ্ফার বাহিনীকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করার মাধ্যমে রাজ্যটির বৃহৎ ৩ টি শহর বিজয় করে নিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন।

জানা যায় যে, গত ৬ই জুলাই মঙ্গলবার দিনভর মাদাক রাজ্যের কয়েকটি শহরে একযোগে বেশ কিছু অভিযান চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এসময় সোমালিয় মুরতাদ বাহিনী মুজাহিদদের হামলার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এবং দুইটি শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুরতাদ বাহিনীর শহর ছেড়ে পালায়নের পর মুজাহিদগণ শহর দুইটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপর উক্ত শহর দুইটি উদ্ধার করতে মুজাহিদদের উপর বড় পরিসরে সম্মিলিত হামলা চালায় কুফ্ফার বাহিনী। কিন্তু এসময় মুজাহিদদের দ্বিতীয় দফায় পর্বতসম প্রতিরোধের মুখে পড়ে কুফ্ফার বাহিনীর সম্মিলিত এই জোট। মুজাহিদদের থেকে শহর উদ্ধার করার পরিবর্তে কুফ্ফার বাহিনী নতুন করে আরও একটি শহর মুজাহিদদের হাতে ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। যার ফলে একদিনে মুজাহিদদের হাতে বিজিত শহরের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩টিতে। শহরগুলো হল- বাদউইন, ক্বাইয়াদ ও সাবিনা-জোউরা।

এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় সেকুলার তুরস্ক ও আমেরিকার প্রশিক্ষিত দুইটি স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা। এসময় ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী তাদের এয়ার সাপোর্ট দিয়ে মুরতাদ সৈন্যদের সাহায্য করতে থাকে।

আল-শাবাবের নিউজ পোর্টাল শাহাদাহ্ এজেন্সি জানিয়েছে, সম্মিলিত এই জোট মাদাক রাজ্যের ওয়াসল শহর থেকে সর্বপ্রথম তাদের উদ্ধার অভিযান চালাতে শুরু করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাগুলির পর মুজাহিদদের হাতে ডজনখানেক কুফ্ফার সেনা নিহত হয় এবং একাধিক সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে যায়। পরে এলাকাটি থেকে পিছু হটে সৈন্যরা।

এসময় ওয়াসল শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সাবিনা-জোউরা নামক এলাকায় পরপর ৪ বার সরকারপন্থী মিলিশিয়ারা আক্রমণ চালায় এবং প্রতিবারই আল-শাবাবের প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়ে তাদের আক্রমণ ব্যর্থ হয়। এখানেও ডজনখানেক লাশ ফেলে রেখে ও সাঁজোয়া যান হারিয়ে মুরতাদ বাহিনী পিছু হটে যায়।

একইভাবে বাদউইন শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের একটি শহরে সোমালি বাহিনীর আক্রমণের ব্যর্থতা এবং শহরটিতে মুজাহিদীনদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে খোদ সরকারপন্থি মিডিয়াগুলোই রিপোর্ট করেছে।

এরপর মুজাহিদরা বাদউইন এবং কাইয়াদ জেলার কাছে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের উপর কাউন্টার-এ্যাটাক পরিচালনা করেন। হামলায় আরো বেশ কিছু স্পেশাল ফোর্সের সদস্য নিহত হয় এবং সাঁজোয়া যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মুরতাদ সোমালি বাহিনীর এই আক্রমণাত্মক অভিযান শুধু যে সেনাবাহিনী দিয়ে চালানো হয়েছে তা নয়। অভিযান চালানোর সময় সরকারপন্থী মিডিয়াগুলো মুজাহিদদের শোচনীয় পরাজয় এবং সরকারি বাহিনীর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু দিনশেষে তাদের সব চক্রান্তই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

শাহাদা নিউজ এজেন্সির মতে দিনভর চলা এই যুদ্ধে দখলদার তুরস্ক ও আমেরিকার প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৭০ সেনা নিহত হয়েছে এবং এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এছাড়াও আরো অনেক সৈন্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অপরদিকে ৩ টি সাঁজোয়া যান পুরোপুরি ধ্বংস এবং আরো অনেকগুলো সাঁজোয়া যান মুজাহিদদের হামলায় অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

9 মন্তব্যসমূহ

  1. আলহামদুলিল্লাহ। খুশীর সংবাদ। উম্মাহর পরাজয় আর লাঞ্ছনার খবরের মাঝে এই ধরণের খুশীর সংবাদগুলো যে কতটা আনন্দদায়ক!!! আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের পা দৃঢ় রাখুন, তাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করুন। আমিন।

  2. এ বিজয়ধারা অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি মাটিতে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ হয়। কুফরের দাপট চূর্ণবিচুর্ণ হয়। ইনশাআল্লাহ।
    আমাদেরকেও এই মোবারক কাফেলার অন্তর্ভুক্ত করো ইয়া রাব্ব…!!

  3. দিনশেষে সত্যের জয় সুনিশ্চিত।হয়তো বা আমাকে আপনাকে নিয়ে অথবা আমাকে আপনাকে ছাড়া।এতে সত্যের কিছুই যায় আসবে না।চূড়ান্ত পরিণতি আমাদের জন্যই অপেক্ষমান।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিরিয়ায় কুফ্ফার বাহিনীর একাধিক অবস্থানে আনসার আল-ইসলামের হামলা
পরবর্তী নিবন্ধযুদ্ধবাজ নেতৃবৃন্দ ও উল্টো পায়ে ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পেছনে ছুটে চলা