খোরাসান | প্রথমবারের মতো পুরো প্রদেশ ও তার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিল তালেবান

5
1515
খোরাসান | প্রথমবারের মতো পুরো প্রদেশ ও তার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিল তালেবান

বিনা লড়াইয়ে নিমরুজ প্রদেশের রাজধানী জারনাজ নিয়ন্ত্রণ নেয়েছেন তালিবান মুজাহিদরা। গত মে মাসে দেশজুড়ে আক্রমণ শুরুর পর থেকে পশ্চিমাদের গোলাম মুরতাদ কাবুল সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে আসা এটিই প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিবান সমর্থক এবং অন্যান্য স্বাধীন সূত্রগুলো জারনাজে টহলরত তালিবান মুজাহিদদের একাধিক ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। ছবিগুলোতে দেখা যায় প্রাদেশিক রাজধানীর সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি জারনাজ বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে তালিবান মুজাহিদরা । প্রদেশটিতে অবস্থিত কাবুল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, গভর্নরের কম্পাউন্ড এবং ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির সদর দপ্তরের বাইরে তালিবান মুজাহিদরা অবস্থান করছেন। এছাড়াও দেখা যায়, তালিবানরা প্রদেশটির কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দী মুজাহিদদের মুক্ত করে নিয়ে আসছেন।

তালিবান মুখপাত্র কারি ইউসুফ আহমাদি ও জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তাঁরা উভয়েই জারনাজ বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ইমারতে ইসলামিয়ার অপর একজন মুখপাত্র- ক্বারী ইউসুফ আহমাদীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ৯:০০ টায় জানান, “আল-ফাতাহ অপারেশনের ধারাবাহিতায় প্রথম প্রদেশ হিসেবে মুজাহিদদের হাতে বিজিত হয়েছে নিমরোজ । আজ বিকালে (৬ আগস্ট) প্রাদেশিক রাজধানী জারনাজ, প্রাদেশিক ভবন, গভর্নরের কার্যালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, গোয়েন্দা বিভাগ এবং সরকারি সমস্ত সামরিক স্থাপনা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিকে আফগান সাংবাদিক সরওয়ারি তাঁর টুইটারে উল্লেখ করেন, “জারনাজ” শহরটি প্রথম কোন প্রাদেশিক রাজধানী, যেখানে একটিও গুলি ছোড়া ছাড়াই তালিবানদের বিজয় হয়েছে।”

কাবুল সরকারি বাহিনী বর্তমানে হেলমান্দের রাজধানী লস্করগাহের কেন্দ্রে একগুচ্ছ ভবনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে মাত্র। কারণ তালিবানরা শহরের বাকি সমস্ত অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তালিবানরা কান্দাহার এবং হেরাত শহরেরও সিংহভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তালুকান, কুন্দুজ শহর, গজনী শহর, মিঠারলাম এবং শিবেরগানের মতো অন্যান্য প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতেও তীব্র হামলা চালাচ্ছেন। এসব শহরগুলোও যেকোন সময়ই নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তালিবান। তবে তালিবান সূত্রগুলো বলছে যে, ৭ আগস্টের মধ্যে মুজাহিদগণ হয়তো আরও একটি প্রাদেশিক রাজধানী শিবেরগান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হবেন। ইনশাআল্লাহ্।

ইরান সীমান্তে অবস্থিত জারনাজ একটি প্রধান বাণিজ্য রুট এবং কাবুল সরকারের শুল্ক আয়ের উৎস ছিল। এ নিয়ে তালিবানরা এখন আফগানিস্তানের ৮টি প্রধান সীমান্ত ক্রসিংয়ের মধ্যে ৭টি পরিচালনা করছেন, যেখান থেকে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করছেন তালিবান মুজাহিদিন।

 

5 মন্তব্যসমূহ

  1. আজকে প্রথমবারের মতো পুরো প্রদেশ ও তার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান মুজাহিদিন।
    ইনশাআল্লাহ অচিরেই পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিবেন তালিবান মুজাহিদিন! পুরো বিশ্ব খেলাফাত আলা মিনহাজিন নবুয়্যার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে! আরশের প্রতিপালকের সাহায্যের প্রতিক্ষায় রয়েছে নির্যাতিত অসহায় মজলুম মুসলিম বিশ্ব।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধখোরাসানের তালেবানদের কামডিশ জেলা বিজয়
পরবর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট | আল-ফারুক সামরিক ক্যাম্প- পাকিস্তান