
একমাস ব্যাপী অবরোধ এবং বেশ কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর তালিবানরা গত রাতে গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফৈজাবাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালিবান মুজাহিদদের ধারাবাহিক আল-ফাতাহ অপারেশনের ফলে বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফৈজাবাদ, গভর্নর কার্যালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনডিএস), কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সরকারি ও সামরিক বাহিনীর সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে কেউ নিহত বা আহত হয়নি। বরং কাবুল বাহিনীর সদস্যরা শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে মুজাহিদগণ পলাতক কাবুল সৈন্যদের তাড়া করে অভিযান চালাচ্ছেন।
বাদাখশানের স্থানীয় সূত্রগুলিও নিশ্চিত করেছে যে, গতকাল মধ্যরাতে প্রদেশটি তালিবান মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে এবং কাবুল সরকারি কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে পালিয়ে গেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় এটি তৃতীয় প্রদেশ যা তালিবানর মুজাহিদিনরা গতকাল বিজয় করে নিয়েছেন। এদিন তালিবানরা ফারাহের প্রাদেশিক রাজধানী এবং বাগলানের প্রাদেশিক রাজধানী পুল-ই-খুমরির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
গত শুক্রবার থেকে, তালিবান মুজাহিদিনরা নিমরোজ, জাউজান, কুন্দুজ, সার-ই-পুল, তাখার, সামঙ্গান, ফারাহ, বাঘলান এবং বাদাখশানসহ ৯টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এছাড়াও বলখ, ফারিয়াব, হেরাত, কান্দাহার, হেলমান্দ, জাবুল, গজনী, পাকতিয়া এবং লঘমান সহ নয়টি প্রাদেশিক রাজধানীও একপ্রকার তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কেননা এসব প্রদেশের মধ্যে কেবলমাত্র গভর্নরের কার্যালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সরকারি বাহিনীর কয়েক স্থাপনা ছাড়া বাকি সকল স্থানই মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক প্রাদেশিক রাজধানী অবরোধ এবং অনেক স্থানে আক্রমণাত্মক অভিযান চালাচ্ছেন তালিবান মুজাহিদগণ।
আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
হে আল্লাহ! আপনি মহান। আপনার বিজয়ও মহান।
আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহু আকবার