বাংলাদেশ নামক একটি মুসলিম প্রধান দেশে সমকামিতার মত একটি জগণ্যতম কাজের বিস্তার ও বৈধতার লক্ষ্যে প্রকাশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে কিছু কুলাঙ্গার। যাদেরকে হত্যার মাধ্যমে তাদের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিলেন এই ভূমিরই কয়েকজ শ্রেষ্ঠ সন্তান। এই কুলাঙ্গারদের হত্যা করায় সেইসব সাহসী যুবকদের ফাঁসির রায় দিয়েছে দেশটির কুফরি আদালত।
জানা যায় যে, আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাদেশি হালাকার সঙ্গে জড়িত থাকা ও পাঁচ বছর আগে ক্রুসেডার আমেরিকার সহায়তায় বাংলাদেশে সমকামীতা প্রচারকারী দুই এলজিবিটি কর্মীকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুসলিম প্রধান দেশটির একটি কুফরি আদালত উম্মাহর সাহসী ছয়জন যুবককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে।
বাংলাদেশে নামক একটি মুসলিম প্রধান দেশে ক্রুসেডার আমেরিকার সরাসরি সহায়তায় জুলহাজ মান্নান এবং মাহবুব রাব্বি তনয় নামে দেহ-মাংশে মানুষ হলেও জগতের এই দুই নিকৃষ্ট প্রাণী দেশে সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে সমকামিতার প্রচার প্রশারে কাজ শুরু করে। সেই লক্ষ্যে তারা সমকামিতার পক্ষ্যে “রূপবান” নামক একটি এলজিবিটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। এছাড়াও সমকামিতার বিস্তার ও বৈধতার লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন গান আর নাট্য মঞ্চকেও বেঁচে নেয়। আর তাদের এই কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই দেশেরই কিছু হলুদ মিডিয়া।
পরে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বিকেলে কয়েকজন সাহসী যুবক কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী সেজে রাজধানীর কলাবাগানে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা, সমকামিতার প্রচারক ও রূপবান পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক এলজিবিটি কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তাঁর সঙ্গী নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
এই প্রশংসনীয় ও বীরত্বপূর্ণ কাজকে অপরাধ হিসাবে দেখে বাংলাদেশ কুফরি আদালত, ফলে আদালত ছয় যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। আর দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। গত ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার কথিত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয় যুবক হলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, মো. শেখ আবদুল্লাহ জোবায়ের ও আসাদুল্লাহ। আর খালাস পাওয়া দুজন হলেন সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মো. জুনাইদ আহমদ। তাঁরা দুজন সহ এখনো নিরাপদে আছেন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া যুবকদের মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।
উল্লেখ্য যে, ঐদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর থেকে এই চার যুবককে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। নিজেদের মধ্যে আলাপকালেও হাসতে দেখা যায় তাদের। এরপর তাদের ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলেও তাদেরকে হাস্যোজ্জ্বল এবং আলহামদুলিল্লাহ্ বলতে দেখা যায়। আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও গণমাধ্যমে সবাইকে হাসিমুখে দেখা যায়।
ভাইদের চির অমলিন চেহারায় জান্নাতি হাসি…
হে উম্মাহর শিংহরা তোমরা আনন্দিত হও। জান্নাত তোমাদের অপেক্ষায়।
আহ আজকে যদি আমি আপনাদের জায়গায় হতাম, এটা আমার জন্য কতইনা ভালো হতো।হে আল্লাহ আপনি আমাকে ভাইদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন।
আল্লাহ তাআলা ভাইদেরকে ইস্তিক্বামাতা থাকার তাওফীক দান করুন ও ভাইদের উত্তম মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন, আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আমাদের ভাইদের জন্য কোন ছাড় দেয়না
আমরাও বুঝিয়ে দিবো