পাকিস্তান ভিত্তিক জনপ্রিয় জিহাদী গ্রুপ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশটির মুরতাদ বাহিনীর উপর তাদের হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে।
ইনফোগ্রাফিক আকারে প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, গত আগস্ট মাসে টিটিপির মুজাহিদগণ মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩২ টি হামলা চালিয়েছেন, যা এই বছরের অন্য যেকোন মাসের তুলনায় বেশি।
সূত্রটি আরও জানায়, টিটিপির মুজাহিদগণ তাদের পরিচালিত অভিযানগুলোর মধ্য থেকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ১৫ টি, এরপর উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ৭ টি, বাজোর এজেন্সিতে ৫ টি, লোয়ার দির জেলায় ৪ টি হামলা চালিয়েছেন। অপরদিকে বান্নু, খাইবার এজেন্সি এবং মর্দানে একটি করে হামলা করেছেন মুজাহিদগণ।
সবচাইতে অধিক পরিমাণ হামলা চালানো হয়েছে মাইন/বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে, যার সংখ্যা ১৪টি। সেইসাথে স্নাইপার হামলা ৬ টি ও পজিশন ঠিক করে ৪টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৮ টি টার্গেট কিলিং, গুলি ও সম্মুখ অভিযান।
মুজাহিদদের এসব হামলায় পাকিস্তানী মুরতাদ সামরিক বাহিনীর প্রায় ৯০ জন সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে সেনা সদস্য রয়েছে ৫৭ জন, এফসি কর্মী রয়েছে ২১ জন এবং পুলিশ সদস্য রয়েছে ১২ জন। সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ছিল ৫২ এবং আহতের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন।
আগস্টে ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদগণ পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এরপর থেকে পাক-তালিবান কর্তৃক মুরতাদ বাহিনীর উপর হামলাও বৃদ্ধি পায়, যা বর্তমানে পাকিস্তানি মুরতাদ বাহিনীর জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আফগান তালিবান পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা কাউকে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না। কিন্তু পাকিস্তান প্রশাসন আফগান তালিবানের এই কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কেননা তারা চাচ্ছিল যে, আফগান তালিবান যেন পাক-তালিবানকে দেশটির মুরতাদ বাহিনীর উপর হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়। কিন্তু আফগান তালিবান এমনটি না করে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, পাক-তালিবানের ইস্যুটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আর আমরা কারো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। আর টিটিপির যুদ্ধের বৈধতা ও অবৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা আমাদের কাজ বা দায়িত্বও নয়।