সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনে কাজ করছে তালিবান: সেনাপ্রধান

12
3397
সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনে কাজ করছে তালিবান: সেনাপ্রধান

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনা প্রধান ক্বারী ফসিহউদ্দিন হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমানে কাজ শুরু করেছে যা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তানকে একটি সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী উপহার দেওয়া যাবে।

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর দেশটির ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান ক্বারী ফসিহউদ্দিন (হাঃ) বুধবার বলেছেন, তাঁরা নিয়মতান্ত্রিক ও সুসংগঠিত একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করার জন্য কাজ করছেন।

সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন “আমাদের প্রিয় দেশ আফগানিস্তানের একটি নিয়মিত এবং সুসংগঠিত শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকা উচিত, যাতে সহজেই আমাদের দেশকে রক্ষা করা যায়।”

তিনি এও জোর দিয়েছিলেন যে, এই সেনাবাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য যে কোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হুমকির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াবেন এবং প্রতিহতরররর করবেন।

ফাসিহউদ্দিন হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, নতুন সেনাবাহিনীর জন্য সাবেক সরকারের সৈনিক ও কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। “ এই ক্ষেত্রে যারা প্রশিক্ষিত এবং পেশাদার তারা আমাদের নতুন সেনাবাহিনীতে থাকা উচিত। আমরা আশা করি এই সেনাবাহিনী খুব শীগ্রই গঠিত হবে।

উল্লেখ্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া বারবারই সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের কর্তব্যে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। অতি সম্প্রতি কাবুলের নিরাপত্তার জন্য ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের জন্য সাবেক সরকারি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সাবেক সরকারি সেনাসদস্যদের কাজে লাগানোর তালিবানের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক সামরিক অফিসার। তারা বলছেন, এসব ব্যক্তির দক্ষতা ও সক্ষমতা তালিবানদের কাজে লাগানো উচিত।

12 মন্তব্যসমূহ

  1. তাসলিমা আপু, আপনি তো ভিতরের খবর কিছুই জানেন না,যারা ত‌ওবা করে ভুল বুঝে আল্লাহর আনুগত্য স্বিকার করবে তারাই আর্মিতে ঢুকতে পারবে,আর যারা মুরদাত তারা তো পালিয়ে কুল পাচ্ছে না

  2. তাকফির দুই প্রকার—
    ১. তাকফিরুত তাইফা (দলগত দিক থেকে মুরতাদ)
    ২. তাকফিরুল মুয়াইয়্যান (ব্যক্তিগত দিক থেকে মুরতাদ)

    দলগত মুরতাদের সবাই মুরতাদ হবে, এমন না। ওই দল থেকে বের হয়ে গেলেই হলো।
    এখন আফগানের পূর্বের সেনাবাহিনী তো তাদের দল ত্যাগ করেছে।
    তাই তারা চাইলে এখন তাওবা করে ইসলামিক সৈনিকদের কাতারেও শরীক হতে পারেন।

    কারো ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার আগে শারঈ দিক তাহকীক করে দেখে নেওয়া উচিৎ। অন্যথায় একজনের একটি মন্তব্যের কারণে অনেক সাধারণ লোক বিভ্রান্তিতে পতিত হবে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হক্বের ওপর ইস্তিক্বামাত রাখুন, আমীন।

    • আমিন। জি ভাই নতুন জিহাদের প্রতি আগ্রহি ভাইদের ইলম কম থাকায়(যেহেতু মাত্র উনারা ইলম অর্জন শুরু করেছেন) উনারা এই পার্থক্য গুলো করতে পারেন না ফলে উনারা কনফিউজড হয়ে যান এই ধরনের কমেন্টের কারণে।

      এই ভাইদের আসলে আল্লাহকে ভয় করে কমেন্ট করা উচিত কারণ উনার একটা কমেন্টের কারণে যদি কেউ জাহান্নামের পথে হাটে কি হিসেব দিবে আখিরাতে???

  3. সেনা বাহিনীর কুফর হল কর্মগত ও দলগত, যা লড়াইরত অবস্থায় ব্যাক্তিগত কুফর বা তাকফীরে মুআইয়ান নিশ্চিত করে না। লড়াই ত্যাগ করার পর তো কাফির বলার সুযোগই নেই। যদি না কুফরের স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়। তাকফীর নিয়ে খারিজীদের বিভ্রান্তি থেকে আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন। মৌলিক কুফর গাইরুল্লাহর স্বীকৃতি বা ইবাদাহ। কাফিরদের সহায়তা এমন কুফর নয়।

  4. মুহতারাম ভাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যানে যা মনে হচ্ছে

    সাবেক সেনাবাহিনির অনেকেই তওবা করে তালেবান এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের কিন্তু আমরা মুরতাদ বলতে পারি না।
    সাবেক সেনাবাহিনি থেকে যারা আত্মসমর্পণ করে নি কিন্তু তালেবান কাবুল দখল করায় গা ঢাকা দিয়েছে তাদের থেকেও সৈন্য নেওয়া যায় যদি তারা তওবা করে থাকে। (আর যেহেতু তারা তালেবানের সেনাতে অন্তর্ভুক্ত হতে চাচ্ছেন তাহলে ধরা তারা তওবা করেই এসেছেন।

    অর্থাৎ সারসংক্ষেপ

    ১। অনেকেই আত্মসমর্পন করেছে। তাদেরকে কিন্তু দলে নিতে সমস্যা নেই।
    ২। আর যারা আত্মসমর্পণ করে নি তারা যদি এখন আবার এড হতে চায় তওবা করে, সেটাও তো সমস্যা নেই।

    আবু বকর রাদিঃ মুরতাদদের (যারা পরে আবার ফিরে এসেছিল) জিহাদের কাফেলায় অংশগ্রহণ করতে না দিলেও পরবর্তী খলিফা উমর রাদিঃ কিন্তু তাদের জিহাদে অংশগ্রহন করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

    অর্থাৎ আমরা সাহাবায়ে কেরাম রাদিঃ এর আমাল থেকেই দেখতে পাচ্ছি যে মুরতাদ যদি তওবা করে তবে তাকে সেনাবাহিনিতে নিতে কোনো অসুবিধা নেই। ইন শা আল্লাহ।

    আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

  5. মুহতারাম ভাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যানে যা মনে হচ্ছে

    সাবেক সেনাবাহিনির অনেকেই তওবা করে তালেবান এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের কিন্তু আমরা মুরতাদ বলতে পারি না।
    সাবেক সেনাবাহিনি থেকে যারা আত্মসমর্পণ করে নি কিন্তু তালেবান কাবুল দখল করায় গা ঢাকা দিয়েছে তাদের থেকেও সৈন্য নেওয়া যায় যদি তারা তওবা করে থাকে। (আর যেহেতু তারা তালেবানের সেনাতে অন্তর্ভুক্ত হতে চাচ্ছেন তাহলে ধরা তারা তওবা করেই এসেছেন।

    অর্থাৎ সারসংক্ষেপ

    ১। অনেকেই আত্মসমর্পন করেছে। তাদেরকে কিন্তু দলে নিতে সমস্যা নেই।
    ২। আর যারা আত্মসমর্পণ করে নি তারা যদি এখন আবার এড হতে চায় তওবা করে, সেটাও তো সমস্যা নেই।

    আবু বকর রাদিঃ মুরতাদদের (যারা পরে আবার ফিরে এসেছিল) জিহাদের কাফেলায় অংশগ্রহণ করতে না দিলেও পরবর্তী খলিফা উমর রাদিঃ কিন্তু তাদের জিহাদে অংশগ্রহন করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

    অর্থাৎ আমরা সাহাবায়ে কেরাম রাদিঃ এর আমাল থেকেই দেখতে পাচ্ছি যে মুরতাদ যদি তওবা করে তবে তাকে সেনাবাহিনিতে নিতে কোনো অসুবিধা নেই। ইন শা আল্লাহ।

    আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

  6. বিষয়টি আপনি যেভাবে দেখছেন ঠিক তেমন নয়, মুরতাদ বাহিনী থেকে যারাই এই সেনাবাহিনীতে কাজ করতে আসবে তাদেরকে পুনরায় ইসলামে ফিরিয়ে এনে এরপর সদস্য করা হবে।

  7. কমেন্টে এসে উল্টা পাল্টা মন্তব্য না করে ভালো ভাবে দাওরাতুশশারিআহ আকিদা,মানহাজ,জিহাদ,ইদাদ,তাকফির,রিদ্দা,
    ইমান,কুফুর সকল বিষয়ে ইলম গুলো মুখস্ত করেন!
    অনেকে একবার গল্পের বইয়ের মত আমাদের রিসালাগুলো পড়ে রেখেদেয় এটাই মূল অজ্ঞতার কারন!
    আল্লাহ সবাইকে ইলম মুখস্ত রাখার ও আমল করার ,এবং অপরকে শিখার তাওফিক দিন! আমিন!!!

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতে দিনে ৮০ হত্যা, ৭৭ ধর্ষণের ঘটনা; শীর্ষ অবস্থানে উত্তর প্রদেশ
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তান | মুজাহিদদের স্নাইপার হামলায় ৪ মুরতাদ সেনা নিহত