২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ক্ষেত্রে ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর হামলার প্রেক্ষিতে রাজধানী রিয়াদের কাছে থাকা প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটিতে থাড ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সম্প্রতি তালিবান বিজয়ে নাস্তানাবুদ যুক্তরাষ্ট্র মিত্র আলে সৌদের বিপদ উপেক্ষা করেই সেগুলো সরিয়ে নিয়েছে; ফলে ইয়েমেনি হুথিদের হুমকির মুখে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পরে গেছে সৌদি আরব। উদ্বিগ্ন সৌদি তাগুত প্রশাসন তাই অপর মিত্র ইহুদিবাদি ইসরায়েলের দারস্থ হয়েছে। খবর – মিডল ইস্ট মনিটর ও মানব জমিন।
বাণিজ্য সংক্রান্ত সংবাদ ও বিশ্লেষণের জন্য পরিচিত ‘ব্রেকিং ডিফেন্স ম্যাগাজিন’-এর বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, ইসরাইল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের চেষ্টা করছে সৌদি আরব। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানি রাফায়েল উৎপাদিত আয়রন ডোম এবং ইসরাইল এরো স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি বারাক ইআর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যে কোনো একটি কিনতে যাচ্ছে সৌদি।
ইসরাইলের সামরিক সূত্র ম্যাগাজিনটিকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমস্যা না থাকলে এই চুক্তিটি অত্যন্ত বাস্তবিক। অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য সৌদি আরব পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। তেল-আবিবের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই এমন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ।
এসকল বিষয় সহ আরও নানান প্রেক্ষাপটে আলে সৌদের ইহুদি প্রীতির বিষয়টি দিন দিন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মুসলিম জনমত উপেক্ষা করেই দিন দিন ইসরায়েলের সাথে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলাকে মুহাম্মাদ বিন সালমানের ‘ডিইসলামাইজেশন’ প্রকল্পেরই অংশ বলে মনে করছেন হকপন্থী আলেমগণ।