উইঘুর মুসলিমদের কুরআনের উপর মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করছে চীনারা

0
1234
উইঘুর মুসলিমদের কুরআনের উপর মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করছে চীনারা

সম্প্রতি উইঘুর নারী গুলযার আলওকানকিয চীনা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে চাইনিজদের কর্তৃক বন্দী উইঘুর মুসলিমদের উপর চালানো নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

তবে সবচেয়ে অস্বস্তিকর যে বর্ণনাটি তিনি দিয়েছেন, তা হল –  চাইনিজ গার্ডরা বন্দী মুসলিমদেরকে পবিত্র কুরআনের উপর মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করছে। যুক্তরাজ্যের উইঘুর ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষ্যে এমন বর্ণনা দেন গুলযার।

এর আগেও উইঘুর মুসলিমদের উপর চাইনিজদের অত্যাচারের বর্ণনা আমরা শুনেছি। পূর্ব তুর্কিস্থানের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা কুরআনের সম্মান বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগে ভরে কুরআন নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে।

তবে গুলযারের এবারের বর্ণনা সহ্যের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন হকপন্থী উলামাগণ। কেননা কুরআন আল্লাহ্র কালাম এবং মুসলিমদের নিকট প্রাণাধিক প্রিয়। আর এই কিতাবের উপর যখন অসহায় বন্দী মুসলমানদেরকে মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়, তখন সেটা তাদের কাছে মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্রনাদায়ক।

উল্লেখ্য, উইঘুর ট্রাইব্যুনাল হল যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল যা চীনা সরকার ও এর বাহিনী কর্তৃক চীনের উইঘুর, কাযাক এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলিমদের উপর চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করে থাকে।

আর বিভিন্ন মাধ্যমে চীনা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে উইঘুর বন্দিদের সংখ্যা ১০ লাখ বলা হলেও, জেলফেরত বন্দিদের ভাষ্য ও স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩০-৫০ লাখ!

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিবমন্দির নির্মাণের জন্য মুসলিমদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ; বুলডোজার দিয়ে ভাঙ্গা হল মাদ্রাসাসহ ২ মসজিদ
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চায় তালিবান