ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি হাসপাতালে খারেজি সন্ত্রাসী আইএস হামলা চালিয়েছে। যাতে ইমারতে ইসলামিয়ার একজন সিনিয়র কমান্ডার মৌলভী হামিদুল্লাহ্ মুখলিস এবং ৩ নারীসহ মোট ৭ জন শাহাদাত বরণ করেছেন।
আঞ্চলিক সূত্র জানায়, গত (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেরদার মোহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস সদস্যরা। তালিবান সূত্রমতে, সন্ত্রাসীদের ঐ হামলায় ৩ নারী, ১ শিশু এবং ইমারতে ইসলামিয়ার একজন সিনিয়র কমান্ডারসহ আরও ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন।
ইমারতে ইসলামিয়ার সূত্র জানিয়েছে যে, হাসপাতালে আইএস সন্ত্রাসীদের হামলার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার যোগে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদেরকে পাঠানো হয়। এসময় আইএস সন্ত্রাসীদের দমন করতে অভিযান চালান ইমারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
হেলিকপ্টার যোগে এসে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং রোগীদের রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। সেই সাথে হাসপাতালে প্রবেশকারী আইএসের পুরো গেংটিকে কাবু করতে অভিযান চালান। ইমারতে ইসলামিয়ার বিশেষ বিহিনীর সদস্যরা খুবই দক্ষতার সাথে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে রোগীদের কোন ক্ষতি ও পেরাশানি ছাড়াই অনুপ্রবেশকারী ৫ আইএস সদস্যকে হত্যা এবং অন্য এক আইএস সন্ত্রাসীকে জীবিত বন্দী করেন।
তবে তালিবান মুজাহিদগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে হাসপাতালের ফটকে এক আইএস সদস্য আত্মঘাতী হামলা চালায়, যাতে এক শিশু, ৩ জন্য নারী এবং ইমারতে ইসলামিয়ার ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী শহীদ হন।
তালেবান-সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায় যে, অনুপ্রবেশকারী আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে অভিযান শুরু হলে তখন কমান্ডার মুখলিস (রহিমাহুল্লাহ) শাহাদাত বরণ করেন।
হাসপাতালে আইএস সন্ত্রাসীদের হামলার সংবাদ পাওয়া মাত্রই নিরপরাধ জনগণকে রক্ষা করতে বিশেষ বাহিনীর সাথে এই অভিযানে অংশ নেন কমান্ডার হামিদুল্লাহ্ মুখলিস। তালিবান সদস্যরা জানায়, আমরা কমান্ডার হামিদুল্লাহ্’কে এই অভিযানে অংশ নেওয়া থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তিনি এক মহূর্তের জন্যেও অপেক্ষা না করে জনগণকে রক্ষা করতে বেরিয়ে পড়েন।
মৌলভী শহিদ হামিদুল্লাহ্ মুখলিস (রহ.) ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার সিনিয়র কমান্ডারদের মধ্যে থেকে একজন। যারা ১৫ আগস্ট, ২০২১ এ রাজধানী কাবুলে প্রথমবারের মত ইমারতে ইসলামিয়ার বিজয় নিশান নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন এবং রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
অকুতোভয় এই মুজাহিদ কমান্ডার নিজে বসে থেকে শুধুমাত্র অধস্তন যোদ্ধাদের অভিযানে না পাঠিয়ে নিজ জীবন বিপন্ন করে তিনি সরাসরি এতে অংশ নেন, যদিও চাইলেই তিনি শুধুমাত্র দিকনির্দেশনা দিয়েই নিরাপদে বসে থাকতে পারতেন। তবে তার সহযোদ্ধাদের মতে, শাহাদাত যার জীবনের একমাত্র মাক্বসাদ, তাকে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অভিজানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়।
(مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِینَ رِجَالࣱ صَدَقُوا۟ مَا عَـٰهَدُوا۟ ٱللَّهَ عَلَیۡهِۖ فَمِنۡهُم مَّن قَضَىٰ نَحۡبَهُۥ وَمِنۡهُم مَّن یَنتَظِرُۖ وَمَا بَدَّلُوا۟ تَبۡدِیلࣰا)
[Surah Al-Ahzab 23]
(مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِینَ رِجَالࣱ صَدَقُوا۟ مَا عَـٰهَدُوا۟ ٱللَّهَ عَلَیۡهِۖ فَمِنۡهُم مَّن قَضَىٰ نَحۡبَهُۥ وَمِنۡهُم مَّن یَنتَظِرُۖ وَمَا بَدَّلُوا۟ تَبۡدِیلࣰا)
[Surah Al-Ahzab 23]
হে আল্লাহ!তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা যেন এ সব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে পারি ৷
رِجَالࣱ صَدَقُوا۟ مَا عَـٰهَدُوا۟ ٱللَّهَ عَلَیۡهِۖ فَمِنۡهُم مَّن قَضَىٰ نَحۡبَهُۥ وَمِنۡهُم مَّن یَنتَظِرُۖ وَمَا بَدَّلُوا۟ تَبۡدِیلࣰا)
[Surah Al-Ahzab 23]