আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আগ্রাসী ফ্রান্স ও তাদের দালাল সেনাদের বিরুদ্ধে চলছে ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী “জেএনআইএম” এর ধারাবাহিক অভিযান। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এসকল অভিযানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে ফ্রান্সের গোলাম মালিয়ান সামরিক বাহিনী।
আঞ্চলিক সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মালিতে ৯ টি অভিযান চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন এর বীর মুজাহিদরা। যার ৬টিই চালানো হয়েছি ফ্রান্সের গোলাম মালিয়ান সামরিক বাহিনীর উপর। বাকি ৩টি অভিযান চালানো হয়েছে ফ্রান্স ও মালিয়ান সামরিক বাহিনীর অর্থ ও সহায়তায় যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে, স্থানীয় সেই মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর উপর।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত সপ্তাহে তাদের সর্বশেষ অভিযানটি চালান ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, যা রাজধানী বোমাকোতে পরিচালনা করা হয়েছিল। সেখানে রাস্তার পাশে তাদের লাগানো বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৭ মালিয়ান গাদ্দার সেনা নিহত এবং আরও ৩ সেনা আহত হয়েছিল।
মালিয়ান সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানায়, ‘আমাদের একটি সাঁজোয়া যান একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে, যাতে কয়েকজন নিহত হয়েছে এবং বাকিরা আহত হয়েছে। এরপর জিহাদিরা বেঁচে থাকা সেনাদের উপরে আক্রমণ করে, এসময় তারা আরও ৩ সৈন্যকে হত্যা এবং অন্য ৩ সৈন্যকে আহত করে।’
বরকতময় এই হামলার ৪ দিন আগে আর্থাৎ ৮ নভেম্বর, মালির সেগু রাজ্যের দৌরা কমিউনে অঞ্চলের কাঙ্গো এলাকায় একটি অভিযান চালান জেএনআইএম এর বীর যোদ্ধারা। মালিয়ান সেনারা মুজাহিদদের হামলা থেকে বাঁচতে ফসলী জমিতে লুকিয়ে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। কিন্তু এতেও গাদ্দার সেনাদের শেষ রক্ষা হয়নি। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ৭ সেনা নিহত হয়। আর মুজাহিদগণও অভিযান শেষে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর মোপ্তি রাজ্যের ফাকালা অঞ্চলের সোফারা সেক্টরে মালিয়ান গাদ্দার সরকারের বিশেষ বাহিনীর উপর হামলা চালান মুজাহিদগণ, এখানে মুজাহিদদের হামলায় কত সেনা নিহত ও আহত হয় তা জানা যায় নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযান শেষে মুজাহিদগণ সামরিক বাহিনী থেকে অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত পেয়েছেন।
এমনিভাবে ৬ নভেম্বর মোপ্তি রাজ্যেরই জঙ্গে এলাকায় দেশটির গাদ্দার বিশেষ বাহিনীর উপর আরও একটি অতর্কিত হামলা চালান মুজাহিদগণ। এই অভিযানেও হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখান জানা যায়নি।
আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন এমন সময় এসব হামলাগুলো চালাচ্ছেন, যখন মুজাহিদদের ধারাবাহিক হামলার ফলে ফরাসী সরকার ৯ বছর যুদ্ধের পরিসমাপ্তি টেনে মালি থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।