এবার আযান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলো প্রজ্ঞা ঠাকুর

উসামা মাহমুদ

0
1264
এবার আযান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলো প্রজ্ঞা ঠাকুর

আজান ইসলাম ধর্মের অন্যতম নিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নামাজের জন্য মানুষকে ডাকার মাধ্যম আজান। আজানের শব্দে আছে আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের ঘোষণা, আল্লাহর একাত্ববাদের ঘোষণা, রাসুল (সা.)-এর রিসালতের সাক্ষ্যদান ও তাঁর প্রশংসা। আজানে আরো আছে কল্যাণ ও সফলতার প্রতি আহ্বান।

এই আজান শুনে বহু অমুসলিম ইসলামকে ভালোবেসেছে এবং ইসলাম গ্রহণ করেছে।
কিন্তু ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষের কারণে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীরা কিছুদিন পরপরই ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিধি বিধান নিয়ে কটুক্তি করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন করে আযান নিয়ে মন্তব্য করেছে ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। তার মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে মানুষের শরীরের জন্য আজানকে ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করে।

ইসলাম ধর্মের এই গুরুত্বপূর্ণ বিধানের বিরুদ্ধে সে বলেছে, “ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে খুব জোরে শব্দ হয়। সেই শব্দ ক্রমশ বাড়তে থাকে। মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। আজানের ফলে অনেক রোগীরও সমস্যা হয়। কারণ তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।”

এরপর সে হিন্দুধর্মের কাল্পনিক রীতিনীতির প্রশংসা করে বলেছে, “ঋষি ও সাধুরাও ভোর চারটের ব্রহ্ম মুহূর্তে ধ্যান করে। আমাদের প্রথম আরতিও হয় ভোর চারটে। কিন্তু তাতে কোনও শব্দ হয় না।”

এই প্রজ্ঞা ঠাকুর অবশ্য এতদিন অনেক হাস্যকর মন্তব্য করেছে। একবার সে বলেছে যে গরুর শরীরে হাট বুলালে নাকি ব্লাড প্রেসার ঠিক হয়ে যায়।

ইসলামবিদ্বেষে উম্মাদ এই মহিলা আরেকবার দাবি করেছিলো যে গো-মূত্র পান করে নাকি তার ক্যান্সার ভালো হয়ে গেছে! অথচ সে এই দাবী করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যান্সার ভালো করতে কেমো থেরাপি নেওয়ার রিপোর্ট ভাইরাল হয়।

তবে এবার আযানের মত গুরুত্বপূর্ণ বিধানের ব্যাপারে এমন জঘন্য মন্তব্যের পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

https://i.ibb.co/kcfdND4/Screenshot-26.png

উল্টো বিজেপির নেতারা বলেছে, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রত্যেকেরই নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করার অধিকার আছে।”
এর ফলে ভারতে আরো বেশি করে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য ও কার্জক্রম বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন ইসলামী বিশ্লেষকগণ।

উল্লেখ, ইতিপূর্বেও আযান নিয়ে মন্তব্য করেছে ভারতের গায়ক সনু নিগম। গত ১৭ এপ্রিল এ বিষয়ে সে পরপর কয়েকটি টুইট করে। একটিতে জানায়, প্রতিদিন ভোরে আজানের কর্কশ শব্দের কারণে ঘুম ভেঙে যায়। এ জন্য সে বিরক্ত হয়।

তথ্যসূত্র :
——–
১। “ভোরের আজান রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। আজানের শব্দ বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ।” ফের ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর
https://tinyurl.com/v2rhx8n4
২। আজানের ফলে অনেক রোগীরও সমস্যা হয়।
https://tinyurl.com/y8tp4hta
৩। মসজিদে মাইক ব্যবহার করে আজানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতের খ্যাতনামা গায়ক সনু নিগম।
https://tinyurl.com/6dv39fbv
৪। আজান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে সোনু
https://tinyurl.com/nryaabky

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালিতে গাদ্দার সেনাদের বিরেদ্ধে আল-কায়েদার ধারাবাহিক হামলা : হতাহত ১৭ এরও বেশি
পরবর্তী নিবন্ধসোমালিয়ায় আল-কায়েদার বীরত্বপূর্ণ হামলায় ১৩ ক্রুসেডার সেনা হতাহত, ৩টি যান ধ্বংস।