আল-কায়েদার যুগান্তকারী হামলার শিকার ১৫০ বুর্কিনা সৈন্য, স্যেকুলার তুরষ্কের দুঃখপ্রকাশ!

ত্বহা আলী আদনান

4
1837
আল-কায়েদার যুগান্তকারী হামলার শিকার ১৫০ বুর্কিনা সৈন্য, স্যেকুলার তুরষ্কের দুঃখপ্রকাশ!

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা-ফাসোর উত্তরাঞ্চলে দেশটির গাদ্দার সেনা বাহিনীর একটি বিশাল সামরিক কাফেলাকে লক্ষ্য করে যুগান্তকারী হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদার বীর যোদ্ধারা। এতে হতাহত হয়েছে অর্ধশতাধিক সৈন্য।

আঞ্চলিক সূত্রে উদ্ধৃত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ নভেম্বর ভোরে, বুর্কিনা-ফাসোর উত্তরাঞ্চলিয় সৌম রাজ্যের ইনাতে একটি সোনার খনির কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ফ্রান্সের গোলাম সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সোনার খনি রক্ষাকারী সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত উক্ত হামলায় ৩২ সেনার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

হামলার শিকারে পরিণত হওয়া সামরিক কাফেলাটি দেড়শতাধিক (১৫০) সৈন্য নিয়ে গঠিত ছিল। সৈন্যরা যখন ভোরে নিজেদের সামরিক ছাউনিতে অবস্থান করছিল, তখন একদল সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা ঐ গাদ্দার সৈন্যদের টার্গেট করে ঝড়ের গতিতে হামলা চালায়। ফলে দেড়শতাধিক সৈন্যদের মধ্যে থেকে ৩২ সৈন্যকে মৃত এবং ২৭ সৈন্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় জীবিত পাওয়া গেছে, বাকি ৯১ সৈন্যের ভাগ্যে কি ঘটেছে বা তারা কি অবস্থায় আছে তা এখনো অজানা।

ধারণা করা হচ্ছে যে, হয়তো তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অথবা সৈন্যরা নিজের জীবন বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে মালিতে পালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, এসব সোনার খনির উপর কর্তৃত্ব করছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। সব স্বর্ণই নামে মাত্র অর্থের বিনিময়ে লুটে নিয়ে যায় ক্রুসেডার ফ্রান্স। আর এজন্যই বুর্কিনা-ফাসো ও মালি সহ গোটা সাহেল অঞ্চলের এসব সোনার খনিগুলোর নিরাপত্তায় নিযুক্ত সৈন্যরাও ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনীর হামলার শিকারে পরিণত হচ্ছে। কারণ ঐ গাদ্দার সেনারাই উম্মাহর সম্পদ তুলে দিচ্ছে দখলদার ফ্রান্সের হাতে। আর আল-কায়েদার এসব দূর্দান্ত সফল অভিযানগুলোর ফলে ক্রুসেডার ফ্রান্স ধীরে ধীরে পশ্চিম আফ্রিকায় নিজের কর্তৃত্ব হারাচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের নিশ্চিত করেছে যে, আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকার সহযোগী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) বরকতময় এই হামলাটি চালিয়েছে। ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম এই অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে, সেই সাথে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে “ইনাতাত” শহর অবরোধ করে রেখেছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, ক্রুসেডার ফ্রান্সের দখল করা সোনার খনিতে মুজাহিদিন কর্তৃক পরিচালিত বরকতময় এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে চাটুকার ও সেক্যূলার তুরস্ক।

সেক্যূলার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি বলা হয়, “এটি খুবই দুঃখের সংবাদ যে, গত ১৪ নভেম্বর বুর্কিনা ফাসোর সাহেল অঞ্চলে “সন্ত্রাসী” (মুজাহিদদের) হামলায় ৩২ জেন্ডারমেরি সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে৷ আমরা এই “জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের” (বরকতময় হামলার) তীব্র নিন্দা জানাই। বুর্কিনা ফাসো সরকারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

আর এভাবেই সেক্যূলার তুরষ্ক ইসলাম ও কুফরের মধ্যকার চলমান প্রতিটি ফ্রন্টে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রুদের পক্ষাবলম্বন করছে। আর উম্মাহে পশ্চিমা আগ্রাসন থেকে রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উম্মাহর শত্রুদের অর্থ, অস্ত্র, সৈন্য এবং পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে।

4 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to umor প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেনিয়া | ক্রুসেডারদের কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন তিন মুসলিম প্রতিরোধ যোদ্ধা
পরবর্তী নিবন্ধসালমান খুরশিদের বাড়িতে হিন্দুত্ববাদীদের আগুন : স্যেকুলারিসমের চশমাটা এবার খুলে ফেলা যায় কি?