পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সামরিক সেনা বিদ্যমান থাকার পরও কাশ্মীরে নতুন করে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে আগ্রাসী ভারতীয় প্রশাসন। ফলে চলমান মুসলিম নির্যাতন আরও বেগবান হয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী বাহিনী স্বাধীনতাকামীদের উপর হামলার পাশাপাশি সাধারণ মুসলিমদেরকেও হত্যা করছে। শহরের মত গ্রামাঞ্চলেও বেড়েছে হত্যাকাণ্ড। যা কোন বিছিন্ন ঘটনা নয় বরং হিন্দুত্ববাদীদের পূর্ব কল্পিত।
গত সোমবারে কাশ্মীরের হায়দারপোড়ায় হিন্দুত্ববাদীদের গুলিতে ২ মুসলিম নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় হায়দারপোড়ার বাণিজ্যিক ভবনের আশেপাশে নাকি তারা স্বাধীনতাকামীদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পেয়ে তা বন্ধ করে দেয়।
পরে বিল্ডিংটিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেখার জন্য, বিল্ডিংয়ের মালিক, আলতাফ আহমেদ, সেইসাথে ভাড়াটিয়া নাম মুদাসির আহমেদকেও তল্লাশির নামে হয়রানি করার জন্য ডাকে।
তারা তখন একটি রুমে দরজা বন্ধ করা অবস্থায় ছিলেন। ব্যস এই সামান্যতেই হিন্দুত্ববাদী বাহিনী ক্রসফায়ার শুরু করে দিলে ঐ ২ মুসলিম নিহত হন।
ঐ ঘটনায় আরো ৪ মুসলিম আহত হয়েছে।
কাশ্মীর জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুদাসসিরের শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে আলতাফের আট বছর বয়সী মেয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আর বলছে আমার বাবার কি অপরাধ ছিল।
অন্যান্য ভাইরাল ভিডিওগুলিতে দেখা গেছে, আব্দুল মজিদ ভাট ও আলতাফের ভাইয়েরাও অত্যন্ত পেরেশান হয়ে পড়েছেন।
হত্যার পর “আইন-শৃঙ্খলা” জনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করে শহিদদের লাশগুলোকে উত্তর কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কবর দেওয়া হবে বলে নিয়ে যায়।
লাশ ফিরিয়ে দিতে মুদাসিরের পরিবার শ্রীনগরের প্রেস কলোনিতে বিক্ষোভ করেছেন। তারা এতটাই ভেঙ্গে পড়েছেন যে বলছেন, কিছু দিন পর পর আমাদের আত্মীয়স্বজনদের আলাদা আলাদা না মেরে সকলকে একসাথেই মেরে ফেলুন।
তথ্যসূত্য:
—–
১। J&K Killings: In ‘Naya’ Kashmir, No Hope for Justice for Civilian Deaths
https://tinyurl.com/yy3d4xk4