পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দখলদার ফ্রান্স ও তাদের গোলাম সৈন্যদের উপর হামলা চালিয়ে আসছেন ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যার ফলে মালি থেকে ধীরে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। সৈন্য প্রত্যাহারের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ক্রুসেডার ফ্রান্স এবার মালির ঐতিহাসিক টিম্বুকটুতে তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে।
ফরাসি সেনাবাহিনী এবং আঞ্চলিক সূত্রের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, ক্রুসেডার ফ্রান্স তার সৈন্যদেরকে রাজ্যটি থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে। এর মধ্য দিয়ে মালির উত্তরাঞ্চলীয় টিম্বকটু শহর থেকে সম্পূর্ণরূপে বিদায় নিলো ক্রুসেডার ফ্রান্স।
রাজ্যটির সামরিক দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে স্থানীয় গোলাম বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক ক্রুসেডার সৈন্যদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের জুন মাসে টিম্বুকটু রাজ্যটি আল-কায়েদা মুজাহিদিন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালের শুরুতে দেশটিতে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে ক্রুসেডার ফ্রান্স এবং এর কয়েকমাস পরে আরেক ক্রুসেডার জোট জাতিসংঘও দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। ফলে ২টি দখলদার জোট বাহিনীর যৌথ সন্ত্রাসী অভিযানের পর, মুজাহিদগণ ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ রাজ্যটি থেকে সরে পড়েন।
আলহামদুলিল্লাহ্, বর্তমানে মুজাহিদগণ পুনরায় রাজ্যটির সিংহভাগ অঞ্চলের উপর রাজত্ব করছেন। আশা কারা যায়, ক্রুসেডার ফ্রান্স রাজ্যটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের ফলে মুজাহিদগণ আবারো সম্পূর্ণ টিম্বুকটু রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেবেন এবং সেখানে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করবেন, ইনশাআল্লাহ্।