সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নতুন করে ওমিক্রন নামক নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টের অযুহাতে বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিতে চাইছে। ফলে বহু শাসকগোষ্ঠী নিজ দেশে আবারো আরোপ করছে নানান বিধিনিষেধ, বাধ্যতামূলক করেছে টিকা গ্রহণ।
শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষের মাঝে ছিল টিকার প্রবল বিরোধিতা, যা এখন আরও বেড়েছে। টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ করেছে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ ইউরোপীয় অনেক দেশের জনগণ। আন্দোলনকারীদের সাথে দফায়-দফায় সংঘর্ষও হয় পুলিশের।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ভ্যারিয়েন্টের অযুহাতে বিধিনিষেধ আরপে অতিষ্ঠ বিশ্ববাসী। এখন অনেকেই আর তাদের কল্পিত দাবিগুলোতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। ফলে এখন বিধিনিষেধ, টিকা ও মাস্ক এর কোনটাই গ্রহন করতে রাজি নয় মানুষ।
এছাড়াও টিকার গ্রহণকারী অসংখ্য মানুষ বিরল রক্ত জমাট বেধে নিহত হবার ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্য, অনেক দেশেই পত্রিকার পাতার শিরোনাম হয়েছে এটি।
নরওয়েতে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। টিকা নেওয়ার পরপরই তাদের শরীরে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহনের পর পরই শরীরে মারাত্মক রক্ত জমাট বাধার প্রমাণ মিলেছে। একদল আমেরিকা ও কার্ডিফ ভিত্তিক গবেষক দল এ তথ্য জানিয়েছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ৪২৫ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাধার ঘটনা ঘটেছে এবং ৭৩ নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও টিকা নেয়ার পরে পুনরায় অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, টিকা কী করোনার জন্যে নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে?
পশ্চিমা বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও বাহিনীর সদস্যরাও টিকা নিতে আগ্রহী নয়। অনেকের চাকরি হারানোর হুমকির মুখেও টিকা নিতে আগ্রহী নয়।
করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়ায় ১০৩ জন মেরিন সেনাকে দায়িত্ব থেকে অব্যবহিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পস এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার মেরিন সেনা এখনো করোনার টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে ১০৩ জনকে অব্যাহতিও প্রদান করা হয়েছে।
এবিসির খবর অনুসারে, গত আগস্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল সামরিক সদস্যকে বাধ্যতামূলকভাবে টিকা গ্রহণের আদেশ দেন। টিকা না নেওয়া হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়।
কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনীর অন্তত ৩০ হাজার সদস্য টিকা নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির বিমান বাহিনীতেও করোনার টিকা না নেওয়ায় ২৭ জন বিমান সৈনিককে অব্যাহতি প্রদান করে।
এগুলো মিডিয়ায় উঠে আসা অল্প কিছু চিত্র, যার বাস্তবতা আরও বেশি করুণ হবার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ মিডিয়া আন্তর্জাতিক মোড়লদের ইশারা ছাড়া একটি শব্দও ব্যবহার করে না, টিকার ব্যবসা বন্ধ করে মোড়লদের খেপাতে চাইবে না কেউ।
উল্টো দালাল মিডিয়া করোনার খবর এমনভাবে প্রচার করেছে যে, সুস্থ মানুষও নিজেকে করোনা রোগী মনে করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠী করোনা ভাইরাসের অতি প্রচারণার পেছনে একটি অশুভ উদ্দেশ্য ছিলো কিনা- এটিই এখন প্রশ্ন? তারা ১ ঘণ্টার সংবাদে প্রায় ৪০ মিনিটই প্রচার করতো করোনার খবর।
দালাল মিডিয়া প্রচার করেছিলো- মানুষ যদি জমায়েত হয়, তবে মানবজাতি বিলুপ্ত হবে, লাশের স্তুপ পড়বে। এই তত্ত্ব দিয়ে তারা বিশ্বঅর্থনীতি, শিক্ষাখাতসহ গোটা বিশ্বে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল।
এই অজুহাত দিয়েই তারা মসজিদ বন্ধ করেছিল; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও তাদ্রে চাপান নিওমের কারণে সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়। এই অজুহাত দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঈদ করতে দেয়া হয়নি, হজ্জ করতে দেয়া হয়নি; কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষ জমায়েত হওয়ার পরও, শীত আসার পর পুনরায় গরম এসেছে তবুও – না লাশের স্তুপ পড়ছে, আর না মানবজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে।
এ থেকে কিন্তু ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, করোনা ভাইরাস নিয়ে অতি ভীতি ছড়ানো স্বাভাবিক কোন বিষয় ছিলো না, এর পিছনে হয়তো ছিলো বিশেষ উদ্দেশ্য-লক্ষ্য। আর টিকা প্রয়োগের লক্ষ্য উদ্দেশ্য যে নিছক স্বাস্থ্য সচেতনতা ছিল না – এটি এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
উল্লেখ যে, টিকা নিয়ে সচেতন মহল বিরোধিতা করে আসছে শুরু থেকেই। করোনার অযুহাতে মানব শরীরে টিকা প্রবেশের আশংকা অনেক আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তখন থেকেই তারা মানুষকে সচেতন করে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। এর জন্য অবশ্য কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি তাদের। কোন কোন বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে করা হয়েছে মামলা। অনেকে হুমকির প্রেক্ষিতে সচেতনতামূলক ভিডিও ইউটিউব-ফেইসবুক থেকে সরাতে বাধ্য হয়েছেন।
উল্লেখ যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টিকা বাধ্যতামূলকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনও টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে যথেষ্ট অবগত নয়। তাছাড়া অচিরেই স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে টিকা কার্যক্রম চালানোর দিকে যাচ্ছে দালাল সরকার৷ টিকা আগ্রাসন থেকে যদি আমাদের কোমলমতি শিশুদের রক্ষা করতে হয়, তাহলে এখনই হতে হবে আত্মসচেতন, গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সচেতনতা।
– তাছাড়া টিকা বা ভ্যাক্সিনে শুকরের চর্বি থাকার বিষয়টিও এখন প্রমাণিত, অথচ প্রথিবির প্রায় সকল প্রধান ধর্মে এটিকে মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিস্তারিত নীচের লিংক থেকে পাঠক এই বিষয়ে পড়ুন-
https://alfirdaws.org/2020/12/26/45385/
তথ্যসূত্র:
======
১. ‘Vaccines don’t make you free’: Thousands protest COVID-19 measures in Brussels-
https://tinyurl.com/2p8mn8wv
২. নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর ২৩ জনের মৃত্যু-
https://tinyurl.com/vpbscj8
৩. টিকা না নিলে সেনাদের বহিষ্কারের ঘোষণা মার্কিন নৌ বাহিনীর
https://tinyurl.com/yc4zr5uu
৪. মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশের টিকা নিতে অস্বীকৃতি
https://tinyurl.com/2p8d6y4x
৫. টিকা না নেওয়ায় ১০৩ মেরিন সেনাকে অব্যাহতি-
https://tinyurl.com/dafuc76f
৬. যুক্তরাজ্যে করোনা টিকা ও বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-https://tinyurl.com/yc3rayny
৭. Healthy mother-of-three, 43, died from blood clots in ‘rare complication’ after she had AstraZeneca Covid-19 vaccine, coroner finds-
https://tinyurl.com/2p8wsjau
এই ভাইরাস নাকি। ইহু,দিরা তৈরি করেছে। দাজ্জালের নিয়ন্ত্রণ সহজ করার জন্য। মানুষ মারার সহজ কৌশল। মানুষ কমলে তারা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আপনাদের নিকট অনুরোধ। এই টিকা তথা তাগুদের বাধ্যতামূলক থেকে বাঁচতে কি করণীয় এটা বলবেন।