তালিবান মুজাহিদদের ব্যাপারে হলুদ মিডিয়াগুলো নানা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্ববাশীর সামনে সন্ত্রাসী হিসেবে আর ইসলামকে চিত্রিত করছে ভয়ঙ্কর রুপে। অথচ, ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। এই ধর্মের শ্রেষ্ঠ ও পবিত্রতম গ্রন্থ কুরআনের বাণী ও ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজের টানে এর আগেও অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছায়।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে মানুষের। মানুষ এখন বুঝতে পারছে, আসলে কিছু ব্যক্তি, সংস্থা ও রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই ইসলাম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আর মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসাবে দেখাচ্ছে।
এরকমই একজন বুঝদার মানুষ হলেন মুহাম্মদ ইসা। আগে তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান, নাম ছিল খ্রিস্টোফার।
খ্রিস্টোফারও বেশিরভাগ পশ্চিমা নাগরিকের মতো হলুদ মিডিয়ার প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে ইসলাম ও মুসলিমদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে থেকে ও মুসলিম ভাইদের সঙ্গে কথা বলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাঁর মনোভাব বদলে যায়। তাই তিনি নিজে থেকেই ঠিক করেন ইসলামের ছায়াতলে আসবেন, মহান রব আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে নিজের জীবন কাটিয়ে দেবেন।
পরে ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানে তালিবানের শীর্ষ মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের কাছেই শাহাদাহ্ পাঠ করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, “তালিবানের প্রয়োগ করা শরিয়াহ আইন, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখেই তিনি ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদই (হাফি:) ওই মার্কিনিকে শাহাদাহ্ পাঠ করান এবং তাঁকে মুহাম্মদ ইসা নাম দেন। শাহাদাহ্ পাঠ করার সময় আবেগে চোখের কোন থেকে পানির ফোঁটা গড়িয়ে পড়তে থাকে মুহাম্মদ ইসার। এরপর তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মুহাম্মদ ইসাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
উল্লেখ্য, তালিবানের বিজয়ের আগেও অনেক অমুসলিম তালেবান মুজাহিদদের উত্তম আচরণ ও ন্যায়পরায়নতায় প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র:
১। তালিবানের আদর্শ ও নৈতিকতা দেখে ইসলাম গ্রহণ এক মার্কিনির –
https://tinyurl.com/pz3dypyf
২। ভিডিও লিংক –
https://tinyurl.com/2p9e22fh
মিডিয়ার ভাইদের প্রতি একটা নিবেদন: ভাইয়েরা যদি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি বেশি প্রচার করতেন , এবং ইমারতে ইসলামিয়া নিয়ে প্রতিদিন কোন না কোন আর্টিকেল, হলুদ মিডিয়ার কারসাজির স্বরূপ উদঘাটন ও ইসলামি শাসনব্যবস্থার ইতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করতেন তাহলে আশাকরি আমভাবে সাধারণ মুসলিমরা শরিয়া আইনের প্রতি আকৃষ্ট হবেন এবং বিশেষভাবে জিহাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ভাইয়েরা কাজে আরো উদ্যমতা পাবেন। প্রায় শতবছরের বিলুপ্ত শরিয়া শাসনব্যবস্থা আবার ফিরে পাওয়ায় সকলেরই দৃষ্টি এখন আফগানের দিকে। আল্লাহ তাআলা ভাইদেরকে ইতকান ও ইহসানের সাথে কাজ করার তাওফিক দান করুন! আমীন!
Alhamdulillah
জ্বী ভাই,আবুল হাসান ভাই ঠিকই বলেছেন,,
বিশেষ করে হলুদ মিডিয়া যেটাকে নিয়ে বেশি অপপ্রচার করছেন,অর্থনৈতিক দূরাবস্হা,মানুষ চাকরী হারা হচ্ছেন,,অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসা ইত্যাদি,