ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন শুধু উসকানীমূলক বক্তৃতার ভ্রান্ত্র অভিযোগ তুলে অনেক মুসলিমকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে বছরের পর বছর। অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলেও তাদেরকে কোন প্রকার জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও প্রকাশ্যে গণহত্যা চালানো আহ্বান জানাচ্ছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। অনেকে আবার মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করতে উৎসাহ দিয়েছে। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে। তবুও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অবশেষে জাতিয় ও আন্তর্জাতিক প্রবল চাপের মুখে লোক দেখানো জন্য জ্যোতি নরসিংহানন্দকে আটক করা হয়েছিল।
গতকাল সোমবার ৭ই ফেব্রুয়ারী হরিদ্বারের একটি আদালত হিন্দু ধর্মীয় নেতা ইয়াতি নরসিংহানন্দকে হরিদ্বার ‘ধর্ম সংসদ’-এর সাথে সম্পর্কিত একটি মামলায় জামিন দিয়েছে। অথচ এই নরসিংহ মাত্র এক মাস আগেই মুসলমানদের গণহত্যার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। মুসলিম নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে।
অনুষ্ঠানের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছিল। কিছু বক্তৃতার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। তার বিদ্বেষমূলক বক্তৃতাগুলো এখনো ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে।
এতকিছুর পরও তার জামিন মঞ্জুর করে হিন্দুত্ববাদী আদালত বলেছে, আদালত বিবেচনায় নিয়েছে যে নরসিংহানন্দকে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। গত বছরও জ্যোতি নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল।
ভারতের মুসলিমরা অপরাধ না করেও দোষী, জেলে বন্দী। জামিন হয়না। আর হিন্দু হলে তাদের সাত খুন মাফ। আর যদি কোন কারণে জেলে নেওয়াও হয় তাহলেও সহজেই জামিন হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Haridwar ‘Dharam Sansad’: Religious Leader Yati Narsinghanand Granted Bail
https://tinyurl.com/ycksfmef