ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের বিদ্বেষের বিষ মাখা তীর মুসলিমদের জীবনধারণ ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে। মুসলিমদের ব্যাপারে একের পর এক বেফাস মন্তব্য করে চলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
এবার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক হিন্দুত্ববাদী রাঘবেন্দ্র সিং নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে জোর গলাতেই আক্রমণ করেছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের। রাখঢাক না রেখেই বলেছে, সে জিতলে মুসলিমরা ইসলাম ধর্মীয় টুপি ছেড়ে হিন্দুদের তিলক পরবেন। সেই নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে পরক্ষণে সে মুসলিমদের ‘সন্ত্রাসী’’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
সে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দোমারিয়াগঞ্জের বিধায়ক ছিল। উপরক্ত উগ্র বক্তব্য সংবলিত তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিতর্ক শুরু হতেই সে ভিত্তিহীন মিথ্যা যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, ‘যখন এখানে ইসলামিক ”সন্ত্রাস”(শাসকরা) ছিল, তখন হিন্দুদের টুপি পরতে বাধ্য করা হত।’
হিন্দু যুব উগ্র বাহিনীর উত্তরপ্রদেশ শাখার প্রধান এই রাঘবেন্দ্র। কট্টরপন্থী এই সংগঠন তৈরি করেছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভোট প্রচারে বেরিয়ে লাগাতার সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করা রাঘবেন্দ্রর কাছে নতুন নয়।
বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘আমি আবার বিধায়ক হলে ফেজ টুপি হাপিশ হয়ে যাবে। এর পর থেকে মিয়াঁরা তিলক পরবেন কপালে।’ এখানেই থামেনি ঐ উগ্র বিধায়ক। সে আরো বলেছে, “এবার কি সালাম ধ্বনি উঠবে, নাকি জয় শ্রীরাম?”
অথচ এই উপমহাদেশে প্রায় হাজার বছরের সাশনামলে মুসলিম শাসকরা কখনোই কোন অমুসলিমকে ইসলামিক পোষাক পড়তে বাধ্য করেননি। আর কোন মুসলমানের জন্য অন্য ধর্মের তিলক পরাও জায়েজ নয়। তার কথায় এটাই বুঝায় যে, জোর করে মুসলিমদের হিন্দু বানানো হবে। যাকে তারা ‘ঘরওয়াপসি’ বলে অভিহিত করে থাকে।
সুতরাং মুসলিমদের উচিৎ নিজেদের মাঝে মতানৈক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও মুসলিম কমিউনিটি তৈরী করা। সতর্ক থাকা যেন হিন্দুত্ববাদীরা ঘরওয়াপেসির নামে কোন মুসলিমকে বিধর্মী করতে না পারে। – উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মুসলিমদের এমনই পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
তথ্যসূত্র :
১/‘আমি জিতলে মুসলিমরা টুপি ছেড়ে তিলক পরবেন’
https://tinyurl.com/3nw6xrwa