দখলদার পশ্চিমা দেশগুলো বিগত প্রায় এক দশক ধরে মালিতে মুজাহিদদের হাতে চরমভাবে মার খেয়ে আসছে। ফলে দীর্ঘ এই যুদ্ধে ক্লান্ত-শ্রান্ত সৈন্যদের নিয়ে মালি থেকে একে একে পালানোর সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে দখলদার পশ্চিমা দেশগুলো।
সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ইউরোপের অন্যতম দেশ এস্তোনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ক্যালে লানেট ঘোষণা করেছে যে, তাদের পশ্চিমা মিত্ররা মালি থেকে সৈন্য প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে, এস্তোনিয়াও মালি থেকে তাদের সামরিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এস্তোনিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” মিশনের অংশ হিসাবে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে অবস্থানরত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডেনিশ সরকার মালি থেকে তাদের সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত নিল এস্তোনিয়াও।
ইউরোপীয় দেশ এস্তোনিয়া, যেটি ক্রুসেডার ফ্রান্সের নেতৃত্বে অপারেশন বারখানের অধীনে মালিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। দেশটির ক্রুসেডার সৈন্যরা মালির গুরুত্বপূর্ণ ‘গাও’ শহরে দখলদারীত্ব বজায় রেখেছিল।
এদিকে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মালি সহ পশ্চিম আফ্রিকায় নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি ও বিজিত আঞ্চলের সীমানা প্রসারিত করে চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে মালি থেকে ক্রুসেডার দেশগুলোর দখলদার সৈন্যদের প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে ‘জেএনআইএম’।