চট্রগ্রাম একুশে গ্রন্থমেলায় ইসলামী বই-পুস্তক প্রকাশকারী কোন প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া হয়নি। এমনকি অন্যান্য স্টলেও ইসলামি মৌলবাদের অভিযোগ তুলে কোন ইসলামিক বই রাখতে দেয়া হয়নি।
ইসলামী বই-পুস্তক প্রকাশকারী কোন প্রতিষ্ঠান স্টল না পেলেও, স্টল পেয়েছে বহুল সমালোচিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন। বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদের চর্চা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংগঠনটিকে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
চট্টগ্রাম সিটি (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছে, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, চট্টগ্রামের একুশে বই মেলায় কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না।’
পাঠকদের অবশ্যই প্রশ্ন জাগবে, ‘মৌলবাদী’ বই কোনগুলো?
এই কপট নেতারা এ প্রশ্নের উত্তর কখনোই দিবে না। বরং এটাকে অজুহাত হিসেবে সকল ইসলামি বইকে নিষিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য।
তারা যে বইগুলোকে ‘মৌলবাদী’ বই বলে সেগুলো তো কুরআন হাদিস থেকেই লেখা হয়। তাহলে তাদের সমস্যা কোথায়?
প্রকৃত সমস্যা হল তাদের অন্তরে লুকায়িত কোরআন-হাদিসের প্রতি অবজ্ঞা আর ইসলাম ও মুসলিমের প্রতি বিদ্বেষ। সরাসরি বললে মুসলিমদের বোকা বানানো যাবে না তাই, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বা অন্য কোন পরিভাষা ব্যবহার করে কথাগুলো বলে থাকে এরা। মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ থাকলেও হিন্দুদের প্রতি তাদের নমনীয়তার কমতি নেই।
একুশের বইমেলায় ইসকনকে কোন আইনে স্টল বরাদ্দ দেয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৯২% মুসলিমদের দেশে যে মেলায় ইসলামী কোনো প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় না, সেখানে কেন ইসকনকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হলো এ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও প্রশ্ন তুলেছেন।
আর এই প্রশ্নের উত্তর এবং এর সমাধান এদেশের ইসলামপ্রিয় সাধারণ মুসলিমদেরকেই করতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
১। চট্টগ্রাম বই মেলায় রাখা যাবেনা মৌলবাদী বই : চসিক মেয়র
– https://tinyurl.com/5fnrakcn
২। ‘মৌলবাদী বই’ নিষিদ্ধ চট্টগ্রামের মেলায়
– https://tinyurl.com/8vbjuknr