পাকিস্তানের পেশওয়ার এবং উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। যার একটিতেই ৮ গাদ্দার সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আঞ্চলিক সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আজ ২০ মার্চ রবিবার পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি বড় ধরণের সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জানবায মুজাহিদিন। যা অঞ্চলটির স্পিন ওয়াম সীমান্তে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে চালানো হয়েছে।
প্রতিরোধ বাহিনীর (টিটিপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী জানান, মুজাহিদিনরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর দুশমন পাকিস্তানি গাদ্দার সৈন্যদের টার্গেট করে উক্ত অতর্কিত সফল অভিযানটি চলিয়েছেন। যাতে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৮ সৈন্য নিহত হয়েছে। সেই সাথে মুজাহিদগণ সামরিক বাহিনী থেকে প্রচুর সংখ্যাক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্।
এর একদিন আগে (১৯/৩/২২) দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেও একটি সফল হামলা চালান মুজাহিদগণ। যেটি ওয়াজিরিস্তানের ‘ওয়ানা’ এলাকায় চালানো হয়েছে। যেখানে মুজাহিদদের গুলির আঘাতে ১ নাপাক সেনা গুরুতর আহত হয়।
একইদিন পেশোয়ারে গাদ্দার এফসি ফোর্সের উপরও হামলা চালান টিটিপির জানবায মুজাহিদিন। এই হামলার বিবরণ দিতে গিয়ে টিটিপির মুখপাত্র জানান, মুজাহিদিনরা একটি রকেট লঞ্চার দিয়ে পেশোয়ারের হায়তাবাদ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কাছে গাদ্দার ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) বাহিনীর একটি পোস্টে হামলা চালান। তিনি বলেন যে, হামলায় বেশ কিছু এফসি সদস্য নিহত ও আহত হওয়ার তথ্য রয়েছে, তবে তিনি হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা জানান নি।
মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে আরও যোগ করেন যে, মুজাহিদদের উক্ত রকেট লঞ্চার হামলার পর গাদ্দার এফসি ফোর্সের সদস্যরা সামরিক পোস্টটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মুজাহিদদের সাম্প্রতিক এই অভিযানগুলোকে গাদ্দার পাকি আর্মি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের শুরু বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকগণ, যা উম্মাহর জন্য কল্যাণকর ফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন তারা।