আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানারকম ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। যার দ্বারা তারা নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্জন করতে চাচ্ছে।
কুফ্ফার জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক “মানবাধিকার” সম্প্রদায় সম্প্রতি আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার জানিয়েছে যে, তাদের এসব উদ্বেগ ভিত্তিহীন ও অসত্য। যেগুলো একচেটিয়াভাবে ইমারাতে ইসলামিয়ার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইমারাতে ইসলামিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, আফগানিস্তানে তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ধরনের সমস্যাগুলো নিজেদের থেকেই উত্থাপন করছে। যার সাথে ইমারাতের কোন সম্পর্ক নেই।
মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভিত্তিহীন উদ্বেগের পরিবর্তে বিশ্বের উচিত ইমারাতে ইসলামিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া। সেই সাথে জাতিসংঘের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর উচিত ইমারাতে ইসলামিয়াকে সুযোগ করে দেওয়া। কারণ বিশ্বকে এখন নতুন আফগান সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে, নয়তো সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
গত বছরের ১৪ আগস্ট আফগানিস্তানে ইমারাতে ইসলামিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর কুফ্ফার সংঘ নামে পরিচিতি পাওয়া জাতিসংঘ, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এবং কথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্প্রদায় তালিবান কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে নারীর অধিকার সম্পর্কে ভিত্তিহীন সব উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এর পেক্ষিতে মুহাতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আফগানিস্তানে নারী ও নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে। তাই ইমারাতে ইসলামিয়া বিশ্বকে অহেতুক চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছে। সেই সাথে নতুন আফগান সরকারের সাথে সম্পর্ক তৈরী এবং ইমারাতে ইসলামিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।”