আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখার বীর যোদ্ধারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে টোগোর উত্তরাঞ্চলে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছেন। ফলশ্রুতিতে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ কর্তৃক টোগোতে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার পর, সরকার দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সেই সাথে উত্তরাঞ্চলে সামরিক শক্তিশালী বাড়িয়েছে।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলিয় সাভানেস অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩ মাসে রাজ্যটি প্রায় ১৭ বার ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়েছে। এতে সামরিক বাহিনীর অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। একই সাথে ধ্বংস হয়েছে অনেক সাঁজোয়া যান ও সামরিক স্থাপনা।
সরকারের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলে পর্যায়ক্রমে সামরিক অভিযান ত্বরান্বিত করা হবে। সেই সাথে দেশ জুড়ে সেনাবাহিনীকে আরও কার্যকরভাবে অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম করে তুলা হবে।”
রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের তথ্য অনুসারে জানা গেছে যে, এই জরুরি অবস্থা আগামী ৩ মাস স্থায়ী হবে। এবং পরবর্তীতে এই সময়কাল সংসদ দ্বারা আরও বাড়ানো হতে পারে।
সামরিক সূত্র মতে জরুরি অবস্থার সাথে সাথে, এই অঞ্চলে আল-কায়েদার ক্রমবর্ধমান অগ্রগতী রোধ করা হবে। এবং “জিহাদি গোষ্ঠী” টির বিরুদ্ধে আরও কার্যকর সামরিক অভিযান চালানো হবে।
এটি এখন আকর্ষণীয় বিষয় যে, আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা জামা’আত নুসরতুল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সম্প্রতি পুরো অঞ্চলজুড়ে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ের এক হামলার বিবৃতিতে দলটি ঘোষণা করেছে যে, টোগো হয়ে দলটি নাইজেরিয়ায় তাদের কর্যক্রম আরও শক্তিশালী করবে। এই লক্ষ্যে তাঁরা প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।