আইভরি কোস্ট সরকার ঘোষণা করেছে যে, তিন বছরের কর্মসূচির অংশ হিসাবে, দেশে যুবকদেরকে জিহাদি চিন্তা থেকে বিরত রাখতে প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি এবং বুরকিনা ফাসো সীমান্ত হয়ে আইভরি কোস্টে দিন দিন হামলা বাড়াচ্ছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আর এই সময়টাতে দিশটির যুবকরাও দলে দলে যোগ দিচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনীতে। এতে নিরাপত্তা-চ্যালেঞ্জে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। ফলে যুবকদের এই জিহাদি জাগরণ রুখতে অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার। এরমধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে জিহাদ বিরুধী প্রচারনা চালাতে ৪০৫ মিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির যুবমন্ত্রী ‘মাহমাদু তোরে’ এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রী তুরে আরও ঘোষণা করেছে যে, তরুণরা যাতে জিহাদি গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হয়, সেজন্য সামাজিক প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করা হবে। তুর আরও দাবি করেছে যে “মাদ্রাসা এবং কোরআন শিক্ষা গ্রহণকারী তরুণদের পিছনে এই কর্মসূচি সবচাইতে বেশি চালানো হবে। (অর্থাৎ তাদের পবিত্র হৃদয়ে ধর্মহীনতা চাষ করা হবে)। কেননা তারা জিহাদের দিকে সবচাইতে বেশি জুকে পড়ছে। এর কারণ হিসাবে দাবি করে যে, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে “সামাজিক জীবনে” খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না।
এই প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে যে, সরকার ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণসহ বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রাথমিক তহবিল হিসেবে ৫৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য যে, মালি এবং বুরকিনা ফাসোর জিহাদি জাগরণ এখন বিশেষ করে আইভরি কোস্ট, গিনি, সেনেগাল, ঘানা, টোগো এবং বেনিনের মতো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সীমান্ত দেশগুলোতে দিন দিন প্রভাব বিস্তার করছে আল-কায়েদা। এসব সীমান্তে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জেএনআইএম সম্প্রসারণ কৌশল অবলম্বন করছে।