ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্নিগ্ধা পাল (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় পরিবারের বিরুদ্ধে প্রাণ-নাশের হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার ২ জুলাই বেলা ১১টার দিকে নাটোর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ সালে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা (এফিডেভিট) দিয়ে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।
স্নিগ্ধা পাল(১৮) তার নাম বদল করে ইনশা আয়াত রেখেছেন। ইনশা আয়াত নাটোর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। তার বাবার বাড়ি টাঙ্গাইলে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ছোট বেলা থেকে আমার বাবাকে দেখতাম তিনি বিভিন্ন ইসলামিক টকশো দেখতেন। সেই থেকে আমি আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন ইসলামিক বিভিন্ন বির্তক টকশো এবং হাদিস বই পড়তে থাকি। ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার বিশ্বাস এবং ভালোবাসা সৃষ্টি হতে থাকে। পরে আমি সম্পূর্ণরুপে বুঝতে পারি কোনটা আসল পথ। পরে আমি গত ২৩.১২.২০২১ ইং সালে টাঙ্গাইল কোর্ট থেকে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা (এফিডেভিট) করে আমার নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করি। পরে বিষয়টি আমার পরিবার জানার পর আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে উঠিয়ে নেওয়াসহ প্রাণ-নাশের হুম-কি প্রদান করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ ২৬ জনের নামে মিথ্যা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আমার পরিবার। বর্তমানে আমি স্বাধীন দেশে বসবাস করেও স্বাধীনতা পাচ্ছি না। প্রতি মুহুর্তে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। বর্তমানে চরম আতঙ্কে আর ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ এই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আক্ষেপের সুরে বলেছেন যে, হিন্দুত্ববাদীদের দালাল-শাসিত এই দেশে এখন অন্য যেকন ধর্ম গ্রহণের ‘স্বাধীনতা’ রয়েছে, তবে ইসলাম ছাড়া। এক্ষেত্রে তাঁরা কেউ কেউ গত বছর পাহাড়ি খ্রিস্টান সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ওমর ফারুক ত্রিপুরার ঘটনাও উল্লেখ করেন, যাকে শুধুমাত্র ইসলামধর্ম গ্রহণের কারণেই শহীদ করে দেওয়া হয়েছিল।
কথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার ডলারপোষ্য ধ্বজাধারীদের নীরবতার ব্যপারেও দৃষ্টিপাত করেছেন অনেক বিশ্লেষক, যারা সারা বছর কথিত সংখ্যালঘুদের কাল্পনিক দাবি-দাওার ব্যপরে খুবই সচ্চার থাকে; কিন্তু মুসলিমদের প্রশ্নে তারা বরাবরই মুখে কুলুপ এটে থাকে।
মেয়েটা কে কেউ বিয়ে করে দায়িত্ব নিলে কেমন হয়?