বারাবরই ইসলামি শরিয়াতের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে মুসলিমদের বৈধ বিয়েকে ভেঙে দিচ্ছে দালাল প্রশাসন। এর-ই ধারাবাহিকতায় এবার যশোরের চৌগাছায় সীমান্তবর্তী আন্দুলিয়া গ্রামে ইসলামি শরিয়াত অনুযায়ী বৈধ বিয়েকে ভেঙে দিয়েছে দালাল প্রশাসন। শুধু বিয়ে ভেঙে দিয়ে শেষ নয়, পিতার অবর্তমানে কনের দায়িত্ব নেয়া বৃদ্ধ নানাকে দেয়া হয়েছে ৯ মাসের কারাদণ্ড।
জানা যায়, আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আন্দুলিয়া গ্রামে যুবতী মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার অযুহাতে চৌগাছা উপজেলা হিন্দুত্ববাদী সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গুঞ্জন বিশ্বাস এ সময় পুলিশের একটি টিম নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ দেখে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। এ সুযোগে হিন্দুত্ববাদী ভূমি কর্মকর্তা পরিবারকে শাসিয়ে সতর্ক করে এবং মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেয়।
কনের বাবা প্রবাসে থাকায় তার নানা লিয়াকত আলী এ বিয়ের আয়োজন করেছিল। বাল্যবিবাহ আয়োজন করায় তাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গাদ্দার প্রশাসন কথিত রাষ্ট্রীয় আইনের অযুহাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। অথচ বিপরীতে কোন হিন্দু বা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন নজির নেই বাংলাদেশে। শুধুমাত্র মুসলিমদের ক্ষেত্রে যত রাষ্ট্রীয় আইনের অযুহাত দেখানো হয়।
মূলত হিন্দুত্ববাদী ভারত ও পশ্চিমাদের খুশি করতেই ইসলামি শরিয়তের উপর হস্তক্ষেপ করছে দালাল সরকার। ভারত ও পশ্চিমারা চায় যেন মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি না হয়। এজন্যই তারা মুসলিমদের হালাল বিয়েতে হস্তক্ষেপ করছে। কেননা ভারত ও পশ্চিমারা প্রায়ই এ দেশের জনসংখ্যা নিয়ে কথিত আশংকা প্রকাশ করে থাকে। এবং দালাল সরকারকে বাধ্য করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। এমনকি যারাই সন্তান না নিতে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাদেরকে সরকার প্রনোদনা হিসেবে লুঙ্গি, শাড়ি ও নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। আর এসব অর্থ সরবরাহকারী সংস্থার বেশিরভাগই পশ্চিমা বিশ্বের।
তাছাড়া মুসলিমদের সঠিক সময়ে বিয়ে করা ও জনসংখ্যা কমাতে বাল্য বিয়ের নামে নানান ‘মিথ’ তৈরি করেছে পশ্চিমা দাজ্জালি সভ্যতার ধারকরা। তারা প্রচার করে থাকে যে, মেয়েদের আগে বিয়ে হলে বা আগে বাচ্চা হলে নাকি নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। অথচ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে ২৫-এর পরে যে নারীরা প্রথম গর্ভধারণ করে, তারাই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখিন হয়। এমনকি বিশেষজ্ঞরা এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, বাচ্চা প্রসব একজন নারীর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতায় পূর্ণতা দান করে। তাহলে তো সেটা তারাতারি হওয়াই ভাল, এক্ষেত্রে অকারণে দেরি করা কি যৌক্তিক?
গাদ্দার প্রশাসন বাল্য বিয়ে নামকরণ করে হালাল বিয়েগুলো ভেঙ্গে দিলেও, বাল্য প্রেম বা অবৈধ সম্পর্ক রোধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। কোন মেয়ে যখন প্রেমিকের সাথে পার্কে যায়, বা ডেটিংয়ের নামে অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন তারাই আবার ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে থাকে। তাহলে আল্লাহর হালালকৃত বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের কথিত ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায়। এজন্য উলামায়ে কেরাম অনেকদিন থেকেই এসব অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে এবং সরকার ও প্রশাসনের এমন ইসলামবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহব্বান জানিয়ে আসছেন।
তথ্যসূত্র:
——–
১। বাল্যবিবাহ বন্ধ করল প্রশাসন
– https://tinyurl.com/2mtydezn