দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আবারও এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছেন৷ এ নিয়ে চলতি বছর ১৮ কিশোরসহ ৫৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো সন্ত্রাসী ইসরাইল সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিনও রয়েছে।
গত ২৯ জুলাই পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে ঐ কিশোরকে খুনের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দখলদার ইহুদি নাগরিকরা এলাকাটিতে মাত্রাতিরিক্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছিল। খোদ জাতিসংঘের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তথ্য অনুসারে, এ বছর ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর ২৮৭টি হামলা চালিয়েছে ইহুদি নাগরিকরা। এসব হামলার অন্তত ৭৭ টিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যদিও বাস্তব হামলার সংখ্যা আরও বেশি।
এসব সহিংস অপরাধের প্রেক্ষিতে হাতে পতাকা ও প্লেকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও স্লোগান দিচ্ছিল ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ মিছিল ভেঙে দিতে ফিলিস্তিনিদের উপর চড়াও হয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। কোন কারণ ছাড়াই চালানো হয় গুলি ও টিয়ার গ্যাস। এ সময় ইসরাইলি সেনার গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আমজাদ নাশাত আবু আলিয়া নামক ১৬ বছর বয়সি ঐ কিশোর। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আবু আলিয়া। পুত্রের শোকে পিতা-মাতা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে চার দিন আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হওয়া আরেক ফিলিস্তিনি মসুলিম গত ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেছে। জানা যায়, নিহত এই ফিলিস্তিনি একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন। পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের একটি চেকপয়েন্টে পার হবার সময় ইহুদি সেনাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
একদিকে মুসলিম জাতীর নিরবতা অন্যদিকে গাদ্দার শাসকদের ইসরাইল প্রীতি- ফলে প্রতিনিয়তই সন্ত্রাসী ইসরাইলি আগ্রাসনের স্বীকার হচ্ছেন মাজলুম ফিলিস্তিনিরা। তাদের জন্য না আছে কোন মানবাধিকার না আছে বেঁচে থাকার অধিকার। নিজ দেশেই পরবাসী হয়ে ধুকে ধুকে মরছে ফিলিস্তিনিরা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় নববী মানহাজ অনুসারে জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন হকপন্থী উলামায়ে ইসলাম।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Palestinian boy shot dead ‘by Israeli settlers’ east of Ramallah
– https://tinyurl.com/hey2xpvd