উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে কে বেশি বিভোর, হিন্দুত্ববাদী মিশন বাস্তবায়নে কারা বেশি এগিয়ে? ভারতের নাকি বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদীরা? – এই প্রশ্ন হয়ত পাঠককে অবাক করতে পারে। তবে হিন্দুত্ববাদের উগ্রতা ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের উগ্র হিন্দুরা যে পিছিয়ে নেই, বরং কিছু ক্ষেত্রে তাদের দুঃসাহস ভারতের হিন্দুদের চেয়ে বেশি, সেটা আবারো প্রমাণ করে দেখাল হবিগঞ্জের এক হিন্দু শিক্ষিকা।
বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া আক্তার কে ঐ স্কুলের হিন্দু শিক্ষিকা মৌসুমি রায় তার পায়ের কাছে সেজদা দিয়ে নাকে খত দিতে বলে। কিন্তু সাদিয়া শিক্ষিকা মৌসুমি রায় কে কেঁদে কেঁদে অন্য শাস্তি দেওয়ার কথা বল্লেও সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, আমি যা বলেছি তাই তোমাকে করতে হবে। এক পর্যায়ে ঐ মুসলিম শিক্ষার্থীকে তাই করতে বাধ্য করে ঐ হিন্দু শিক্ষিকা। এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভয় দেখায়। এবং এব্যাপারে কোন রকম উস্কানি দিলে(Tc)টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ জুলাই রোজ বৃহস্পতিবার। শিক্ষিকা মৌসুমী রায় ওই স্কুলের একজন খন্ডকালীন শিক্ষক বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটলেও, পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় শনিবার বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হয়। তখন মুসলিম শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মুসলিমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জনান, এবং হিন্দু শিক্ষিকার যথাযথ শাস্তির দাবি করেন। ৯২% মুসলিমের দেশে হিন্দু শিক্ষিকা এমন সাহস কিভাবে দেখায় তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর থেকেই এদেশে বসবাসরত হিন্দুরা প্রকাশ্যভাবে বোরকা, হিজাব নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বাজে আচরণ করা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ হিন্দুরা এদেশে অবস্থান করলেও ভারতের হিন্দুত্ববাদীদেরকেই তাদের চেতনা ও আদর্শ হিসেবে নিয়েছে। আর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের ঘটনা ভারত ও বাংলাদেশে একই ধারায় এবং একই স্কীপ্টে এগিয়ে নিচ্ছে এই উগ্র হিন্দুরা। বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের এ ধারা রুখতে না পারলে গোটা উপমহাদেশেই তা মুসলিম গণহত্যায় রুপ নিবে।
তথ্যসূত্র:
——
১.হবিগঞ্জের মাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা
https://tinyurl.com/3wdsteyr