বাংলাদেশের কথিত স্বাধীনতার পর থেকেই সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মুসলিমদের খুন করছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সন্ত্রাসী বিএসএফ। গুম, খুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেও প্রায়ই দাদাগিরি করে তারা। সীমান্ত এলাকার মুসলিমদেরকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন কাজে বাধা দেওয়া ও মুসলিম নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া – এগুলো তাদের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে সিস্টিয়ার পাড় এলাকায় বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা। গত ৩ আগস্ট বুধবার নেসকো ১১ হাজার লাইনের বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগানোর সময় বাধা দেয় হিন্দুত্ববাদী বিএসএফ।
সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে নেসকোর কর্মীরা দহগ্রামের সিস্টিয়ার পাড় কলোনীপাড়া সীমান্তে ডিএমপি ১০ পিলারের ৬ এস সাব পিলারের কাছে নেসকোর পূর্বে বসানো খুঁটিতে তার লাগানোর কাজ শুরু করে। এ সময় ভারতীয় অরুণ ক্যাম্পের হিন্দুত্ববাদী সদস্যরা তাদের বাধা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পাটগ্রাম বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেছে, আমাদের ওখানে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটি আগেই স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপন করা ওই খুঁটিতে এর আগে নেসকোর কর্মীরা তার টানতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। এতে কাজ বন্ধ রাখা হয়। বুধবার নেসকোর কর্মীরা বিজিবির সম্মতি নিয়ে আবার পিলারে তার টানতে গেলে আবারো বিএসএফ বাধা প্রদান করে। ফলে এবারেও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ৪ এপ্রিল ২১ সালে সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন, দুটি স্টেশন ও সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ যায়। শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর নির্মাণ কাজ হচ্ছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে বিএসএফের বাধার মুখে এই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।
বিজিবি’র এমন নির্লিপ্ততাও সচেতন মহলে প্রশ্নের জন্ম দেয় যে, বিজিবি কি এখন সীমান্তে তাদের মূল দায়িত্ব আগ্রাসী শত্রুর মকাবিলা ছেড়ে শুধু এদেশের মুসলিমদের বুকে গুলি ছোরার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে? আর আমাদের দেশের কথিত গনতন্ত্রপন্থী নেতারা, যাদের দায়িত্ব ছিল এদেশের মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা কি ভারতের দালালি করতে করতে এতটাই কাপুরুষ হয়ে গেছে যে, সামান্য বিএসএফ-এর অন্যায়ের মৌখিক প্রতিবাদটুকু তারা করতে পারছে না!
ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই মনে করেন যে, এদেশের মুসলিদের এখন সময় এসেছে ঘরের ও বাইরের শত্রুকে ভালো করে চিনে নেওয়ার, এবং তাদের ভবিষ্যৎ আসন্ন বিপদ মোকাবিলার চিন্তা-ফিকির করার। তা না হলে অচিরেই হয়তো হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা মিলে বাংলার মুসলিমদের ভাগ্যে এক মহাবিপর্যয়ের অবতারনা করবে।
তথ্যসূত্র:
——–
১. বিএসএফের বাধায় পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা বন্ধ
– https://tinyurl.com/45nzxcra
২. বিএসএফের বাধায় দুটি রেলস্টেশন ও একটি সেতুর নির্মাণকাজ ১০ মাস ধরে বন্ধ
– https://tinyurl.com/swcdsvht
اللهم احفظنا من هذه الظالمين