আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বেনিনে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করেছে।
গত দেড় বছর ধরেই বেনিনের উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে আল-কায়েদা। যার কয়েকটির দায়ও স্বীকার করেছে প্রতিরোধ বাহিনীটি। তবে সেখানে দলটির সদস্যদের সরাসরি উপস্থিতি আছে কিনা তা ছিলো অজানা। মনে করা হতো, প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিবেশি দেশের সীমান্ত হয়ে দেশটিতে হামলা চালাচ্ছেন। তবে নতুন করে এই ঘোষণার মাধ্যমে ‘জেএনআইএম’ দেশে আনুষ্ঠানিক উপস্থিতির জানান দিয়েছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়াসূত্র কর্তৃক সরবরাহকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জেএনআইএম বেনিনে তাঁর উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। যেখানে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে দেখা যায় ‘বারিবি’ (স্থানীয়) ভাষায় জনসাধারণকে সম্বোধন করে বক্তব্য দিচ্ছেন। গত রবিবার স্থানীয় ভাষায় প্রচারিত ভিডিওটিতে জনগণকে শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শরিক হওয়ার জন্য প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’এ যোগ দিতে বলা হয়।
ভিডিওতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে রাশিয়া-নির্মিত AK-103 এবং সার্বিয়া-নির্মিত Zastava M05E1 দেখা গেছে। এগুলো ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর কাছ গনিমত হিসাবে পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আরও জানা গেছে যে, দেশটির উত্তরের কয়েকটি প্রো-জিহাদি দল ইতিমধ্যে জেএনআইএম নেতা শাইখ ইয়াদ আল-গালি (হাফি.) এর কাছে আনুগত্যের বাইয়াত করেছে।
যাইহোক, সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি এমন একটি সময়ের এসেছে, যখন আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা সহযোগী জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সমগ্র আফ্রিকাজুড়ে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করছে।
এই প্রেক্ষাপটে ‘জেএনআইএম’ মালি থেকে দক্ষিণে তাদের কার্যকলাপের ক্ষেত্র বাড়িয়েছে। এবং পশ্চিম আফ্রিকার অভ্যন্তর থেকে উপকূলরেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের কৌশল অনুসরণ করেছে।
সেই সূত্র ধরেই ‘জেএনআইএম’ মালি এবং বুরকিনা ফাঁসোর পর আইভরি কোস্ট, গিনি, সেনেগাল, ঘানা, টোগো এবং বেনিনের মতো দেশের সীমানার দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করছে।
Alhamdulillah Brother! we are always with you.
Alhamdulillah
আলহামদুল্লিহ
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাঁদের কাজে ভরপুর বারাকাহ দান করুন আমীন।