সোমালিয়ায় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসীদের তল্পিবাহক ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নে শহিদী হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ৩ অফিসার সহ গরগর ফোর্সের ৪২ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ৭ই আগষ্ট ভোরে সোমালিয়ার কালবির অঞ্চলে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী ও সোমালি বাহিনীর যৌথ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি বীরত্বপূর্ণ শহিদী হামলা চালানো হয়েছে। হামলাটি ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী কর্তৃক প্রশিক্ষিত ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নকে টার্গেট করে চালানো হয়। যাতে প্রায় অর্ধশতাধিক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের উক্ত শহিদী হামলায় মার্কিন তল্পিবাহক ‘গরগর’ ফোর্সের ১৮তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার জেনারেল “টেকার সিবাগলি” এবং কালব শহরের সামরিক কমান্ডার সহ আরও ৩ অফিসার নিহত হয়েছে। এই হামলায় হাতাহত হয়েছে ‘গরগর’ ফোর্সের আরও ৪২ এরও বেশি সেনা সদস্য।
এদিকে গত ২ আগষ্ট সোমালিয়ার হাইরান রাজ্যে একটি তীব্র লড়াই সংঘটিত হয় হারাকাতুশ শাবাব ও সোমালি গাদ্দার সেনাদের মধ্যে। যেখানে হারাকাতুশ শাবাব নিয়ন্ত্রিত রাজ্যের মাতবান এবং মাহাস শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে সোমালি বাহিনী। এসময় হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন গাদ্দার বাহিনীকে টার্গেট করে তীব্র হামলা চালান। ফলে মোগাদিশু কেন্দ্রীক সোমালি গাদ্দার বাহিনী যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে ততক্ষণে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের তীব্র হামলায় ১৯ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন হামলার ফলাফল বিবেচনায় ইসলামি বিশ্লেষকগণ বলছেন, সোমালিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ ভূমি জুড়ে খুব শীঘ্রই একটি শক্তিশালী ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে হারাকাতুশ-শাবাব। এর ঘোষণা কেবল কৌশলগত কারণেই স্থগিত রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুবা গাদ্দার-ক্রুসেডার জোট বর্তমানে আশ-শাবাবকে ঠেকিয়ে রাখার মতো অবস্থানে নেই বলে মত তাদের।
আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামের বিজয় অতি সন্নিকটে।
Alhamdulillah Alhamdulillah Alhamdulillah