মুসলিমদের গাফলতির সুযোগ নিয়ে কিছুদিন পর পরই মুসলিমদের প্রাণপ্রিয় নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবি এবং কটুক্তিমূলক মন্তব্য করে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী উগ্র নেতাকর্মীরা।
কয়েক মাস আগেই নুপুর শর্মা নামে এক নিকৃষ্ট মহিলা ও নবীন জিন্দাল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নিয়ে কটুক্তি করেছিল। এমনকি তখন তারা প্রকাশ্যে মিছিল করে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নিয়ে কটূক্তি শুরু করেছিল। তাদের এক নিকৃষ্ট দেবতাকে নবীজির পিতা বলে সম্বোধন করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছিল এই গো-পূজারীরা। । নাউযুবিল্লাহ। । আমাদের এই মূল্যহীন জীবন তাঁর (ﷺ) জন্য কুরবান হোক।
তাদের তো কোন বিচার হয়নি, বরং এই ঘটনায় প্রতিবাদকারী মুসলিমদের উপর খড়গহস্ত হয়েছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ; অন্যদিকে অপরাধীদের দিয়েছিল কড়া নিরাপত্তা। আর এই বিচার না হওয়াতেই দুঃসাহস আরও বেড়ে গেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রিয়নবী (ﷺ)-কে নিয়ে কটুক্তিকর মন্তব্য করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মন্ত্রী রাজা সিং। সে তেলেঙ্গার হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির মন্ত্রী। হিন্দুত্ববাদী রাজা সিংকে নুপুর শর্মার করা মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করতে শোনা গেছে।
গত ২২ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে সে নবী মোহাম্মদ (ﷺ) এর বিরুদ্ধে এমন অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার এই বাজে মন্তব্যে শহরজুড়ে মুসলিমরা প্রতিবাদে নেমেছেন। মুসলিমদেরকে সাময়িকভাবে শান্ত করতে তাকে আটক করেছে হায়দারাবাদের হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, কয়েকদিন পরেই তাকে ছেড়ে দিতে দেখা যাবে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনকে। আগে যারা এমন অন্যায় করেছিল তাদেরও কোন বিচার করেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
হিন্দুত্ববাদীরাও জানে যে, তারা বাকস্বাধীনতা আর ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে যাই করুক, তাদের কোন বিচার হবে না। আর মুসলিমরাও তন্ত্র-মন্ত্রের জালে আটকে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, প্রাণপ্রিয় নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে তাদের কলিজায় আঘাত দেওয়ার পরেও, তারা তার সঠিক জবাব দিতে পারছে না। ফলে হিন্দুত্ববাদীদের সাহস বেড়ে যাওয়ায় তাদের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যদি মুসলিমরা সঠিকভাবে তাদেরকে শরীয়তনির্ধারিত পাওনাটুকু আদায় করে দিতে পারতো, তাহলে তারা এমন করার সাহস পেত না।
মুসলিমদেরকে তাই প্রিয়নবী (ﷺ)-এর ইজ্জত হেফাজতকল্পে এবং নিজেদের জান-মাল-আব্রুর রক্ষার্থে নববী মানহাজ অনুযায়ী প্রতিরোধ-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম। সেই সাথে নবী-অবমাননাকারিদেরকেও তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা, আর সেটা হচ্ছে তাদেরকে জাহান্নামে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা।
আমাদের পিতা-মাতা-সন্তান এবং আমাদের এই নিকৃষ্ট দুনিয়ার জীবন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য কুরবান হোক!
তথ্যসূত্র:
——–
1. BJP MLA arrested in Hyderabad for comments on Prophet
– https://tinyurl.com/mrybc2ux
ভাই এখানে *নিকৃষ্ট জীবন* না লিখে
পবিত্র জীবন লিখলে মনে হয় উত্তম হতো
এখানে লেখক সম্ভবত দুনিয়ার জীবনকে নিকৃষ্ট বলেছেন।